প্রতিদিন অন্তত ৫০ টি সিগারেট খান পিটার কারাভাস। এর ফলে তিনি মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়েছিলেন। মাত্র ৩৭ বছর বয়সেই তার হার্ট অ্যাটাক হয়।
তার স্ত্রী ভেরোনিকা মনিকা বলেন, তার স্বামীকে এ রকম দুরবস্থায় পতিত হতে দেখাটা অত্যন্ত কঠিন।
বয়সের বিচারে মিস্টার কারাভাসের কেসটি খুবই অস্বাভাবিক।
কিন্তু, অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শীর্ষ গবেষক প্রফেসর এমা ব্যাংকস বলেন, এটি বিশ্বের অন্যতম একটি গবেষণা। এতে দেখা হয়েছে কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমে ধূমপানের কতোটা ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।
গবেষকরা প্রায় ১৯০ হাজার লোকের ওপর সাত বছর ধরে সমীক্ষা চালিয়েছেন।
তারা ৩৬ রকম কার্ডিওভাসকুলার রোগের তথ্য নিয়েছেন।
এতে তারা দেখতে পান, ধূমপানের কারণে প্রতিবছর ১১ হাজারেরও বেশি করোনারি হার্ট হসপিটালাইজেশনস-এর ঘটনা ঘটে।
কিন্তু, প্রফেসর ব্যাংকস বলেন, কেউ যদি নিজেকে স্বল্প ধূমপায়ী ভাবেন, তারপরও তার স্বাস্থ্যের ওপর এর মারাত্মক কুপ্রভাব পড়ে।
ক্যান্সার কাউন্সিলের সিইও টড হার্পার বলেন, এই বদভ্যাসের কারণে প্রতিবছর প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার খরচ হয় স্বাস্থ্য বিভাগের।
হার্ট ফাউন্ডেশনের বিল স্টাভ্রেস্কি মনে করেন, অতীতের মতো ধূমপান ত্যাগের আহ্বান জানানো উচিত।
৪৫ বছর বয়স হওয়ার আগে যদি কেউ এই বদভ্যাস থেকে মুক্ত হতে পারেন তাহলে আপনি ৯০ শতাংশ ঝুঁকি এড়াতে পারবেন।
ধূমপানের বদভ্যাস ছেড়ে দেওয়া পিটার কারাভাস বলেন,
“ধূমপান অত্যন্ত বিপদজনক আর আপনি যদি এখনই এটি পরিত্যাগ না করেন, এখনই যদি (এটা ছাড়ার) চেষ্টা না করেন, এর মূল্য আপনাকে পরবর্তীতে দিতে হবে।”
প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
READ MORE
আপনি কি আবারও বিয়ে করতে চান?