স্ট্রোক করার আগেই এখন স্মার্ট ফোন কোন হৃদরোগ ইস্যু শনাক্ত করতে পারবে।
রয়েল মেলবোর্ন হসপিটালে প্রথম আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গেছে সাধারণ বহনযোগ্য স্মার্টফোন মনিটরিং বর্তমান পদ্ধতির চেয়ে দ্বিগুন কার্যকরী।
মাত্র গত সপ্তাহে ৭৪ বছর বয়স্ক বব চলমার্স স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এখন তিনি স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন আরটিয়াল ফিব্রিলেশন বা এএফ -এর উপসর্গ মনিটর করতে, এটি একটি হৃদরোগ জনিত কন্ডিশন বা অনিয়মিত হৃদস্পন্দন।
যাদের এএফ আছে তাদের স্ট্রোক করার সম্ভাবনা যাদের নেই তাদের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি।
এই কন্ডিশনে হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হয়, এতে রক্ত জমাট বেঁধে মস্তিষ্কে সঞ্চালন হতে পারে।
রয়েল মেলবোর্ন হসপিটালের নিউরোলজিস্ট প্রফেসর বার্নার্ড ইয়ান বলেন, আগে থেকেই এএফ কন্ডিশন শনাক্ত করা স্ট্রোকের রোগীদের জন্য অত্যন্ত জরুরী।
অস্ট্রেলিয়ার এক হাজারেরও বেশি রোগীর ওপর তিন বছর ধরে গবেষণা চালানোর পর হংকং এবং চায়না দেখেছে যে স্মার্টফোন মনিটরিং এএফ শনাক্ত করতে শতকরা ৮.৫ ভাগ বেশি কার্যকরী, তুলনামূলকভাবে বর্তমান হলটার মনিটরিং ডিভাইস-এর কার্যকরী ক্ষমতা শতকরা ২.৮ ভাগ।
প্রফেসর ইয়ান বলেন, এই ফলাফল খুবই আনন্দের।
এটি মাত্র ২০ সেকেন্ডে ফলাফল জানাবে, তুলনামূলকভাবে আগের মেথডে ২৪ ঘণ্টায় ফলাফল জানা যেত, এবং এর জন্য কার্ডিওলোজিস্টের ডায়াগনোসিসের প্রয়োজন নেই।
প্রফেসর ইয়ান বলেন, এই প্রযুক্তি এএফ-এর যে কোন উপসর্গ দেখা দেয়া মাত্রই শনাক্ত করে ফেলবে।
বেশি সংখ্যায় রোগীর এএফ শনাক্ত করার ফলে এই ডিভাইসটি কম গুরুত্বপূর্ণ স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমাতে সক্ষম হবে।
স্ট্রোক ফাউন্ডেশনের লিসা মারফি বলেন, এই প্রযুক্তি সারা দেশে স্ট্রোক প্রতিরোধে আরো সুযোগ সৃষ্টি করবে।
চিকিৎসকরা মনে করেন, স্মার্টফোন গবেষণার ফলাফল স্ট্রোকের রোগীদের ক্লিনিকাল গাইডলাইনে পরিবর্তন আনবে।
পুরো প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে ওপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
আরো দেখুন: