ওয়েরেবী পার্ক মেনশনের বিস্তীর্ণ উদ্যানগুলো প্রায়শই বিবাহ এবং উৎসবের জন্য ব্যবহৃত হয়। এখন এটি একটি রন্ধনশালায় পরিণত হয়েছে যার মাধ্যমে খাদ্য সংকটে থাকা পরিবারগুলোর জন্য খাবার সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে।
এই উদ্যোগটি গত বছর বেশ সফল হয়েছিল, এজন্য আবারও আয়োজন করতে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে।
পার্ক ভিক্টোরিয়া থেকে জেমস ব্রিনকেট বলেন, "গত বছর একটা ট্রায়ালের মত হয়েছিল। আমরা প্ল্যান্ট বেডটিকে কিছুটা বিশ্রাম দেওয়ার জন্য সিলভারবিটসহ একটি বেড লাগিয়েছিলাম। পরে এটি দেখা গেল, কোভিড -১৯ লকডাউনের কারণে এটি কমুউনিটির জন্য খাদ্য উৎপাদন করার খুব ভাল সুযোগে পরিণত হয়েছে।"
পার্ক ভিক্টোরিয়া সর্বশেষ লকডাউনের খারাপ সময়টিতে এই উদ্যোগের জন্য ট্রায়াল করেছিল, গত বছর বেশ উল্লেখযোগ্য পরিমান শাকসবজি হয়েছিল।
নতুন মৌসুমে কারেন এবং শিখ সম্প্রদায়ের সদস্যরা কয়েকশো সিলভারবিট চারা রোপণ করে একই পরিমান সবজি আবাদের প্রত্যাশা করছেন আবারও।
ব্রিনকেট বলেন, "মৌসুমের শেষে আমাদের কাছে ৩,০০০ কিলো সিলভারবিট ছিল এবং প্রতিটি বিটের জন্য একটি পট দরকার হয়। সুতরাং এই বছর একই চ্যালেঞ্জ ছিল এই পরিমান পেতে। তবে আমরা ভাবছি আমরা সম্ভবত এবার আরও কিছুটা ভাল করবো কারণ কমুউনিটির লোকজন আরও এগিয়ে আসছে এবং আমরা এখন কোন লকডাউনের মধ্যে নেই।"
এরপরে তাজা সবজিগুলো ওয়েস্ট মেলবোর্নের কমিউনিটি গ্রুপগুলোতে প্রেরণ করা হয় যারা সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য খাবার সরবরাহ করে।
স্থানীয় শিখ সম্প্রদায়ের সদস্যরা এ ব্যাপারে বেশ ভূমিকা রাখছেন, যাদের মধ্যে আছেন কমিউনিটির স্বেচ্ছাসেবক সমন্বয়কারী জসবিন্দর সিধু।
সিধু বলেন, "কোভিড চলাকালীন অতিরিক্ত সিলভারবিট ছিল যা ব্যবহার করা হয়নি তাই পার্ক ভিক্টোরিয়ার জেমস আমার সাথে যোগাযোগ করেছিল এবং বলেছিল যে আমরা এটি ব্যবহার করতে পারি কিনা। তাই আমি প্রথমে ঘরে সিলভারবিট রান্না করি এবং আমি একটি রেসিপি তৈরি করেছি এবং আমি এটি ব্যবহার শুরু করেছি।"
ওয়েরেবী এলাকার শিখ সম্প্রদায় বছরের পর বছর ধরে তাদের স্থানীয় মন্দিরে বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করে আসছে।
এবং মিঃ সিধু বলেন যে তারা এই উদ্যান কর্মসূচির ফলে এই উদ্যোগগুলো সফল করতে পেরেছেন।
তিনি বলেন, "আমরা ২০১২ সাল থেকে নিখরচায় খাবার বিতরণ করছি, এর আগে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৫০ থেকে ১০০ জনের খাবার সরবরাহ করতাম, তবে কোভিডের সময় - এই সংখ্যাটি ২০০, ৩০০ দিয়ে শুরু হয়েছিল, তবে এখন এটি ১০০০-এ পৌঁছেছে।"
এটি পার্ক ভিক্টোরিয়া এবং রিফিউজি সেটেলমেন্ট সংস্থা এ-এম-ই-এস অস্ট্রেলিয়ার একটি যৌথ উদ্যোগ।
এই গ্রুপের লরি নওয়েল বলেন যে প্রোগ্রামটির সুবিধাগুলো ব্যাপক।
"আমাদের কেস ম্যানেজাররা লক্ষ্য করেছেন যে এখানে শরণার্থী সম্প্রদায়ের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যাগুলো অত্যন্ত প্রকট, তাই এই প্রোগ্রামটি অনেকের জন্য সত্যিই ইতিবাচক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা এক হাজার লোককে এই প্রোগ্রামের মধ্যে নিয়ে এসেছি এবং প্রায় এর মধ্যে ২০০ জন স্থানীয়ভাবে চাকরি পেয়েছে।"
দেড় শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক বর্তমানে এই প্রোগ্রামে অংশ নিচ্ছে।
পুরো প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারে ক্লিক করুন।
শুনুন প্রতি সোমবার এবং শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় এবং আমাদের ভিজিট করুন।
আরও দেখুনঃ