সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের ক্রমবর্ধমান সংকট এবং ভয়েস গণভোট ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ পার্লামেন্টের অধিবেশনের আলোচনায় বেশি স্থান পেয়েছে।
এদিকে এক বছরের নীরবতার পর, দক্ষ কর্মীর ঘাটতি দূর করার এই চুক্তি এখন আলোচনার টেবিলে।
জাতীয় মন্ত্রিসভা বৃত্তিমূলক ও প্রশিক্ষণ খাতের জন্য পাঁচ বছরের জন্য একটি নতুন ১২.৬ বিলিয়ন ডলারের তহবিল যোগানোর চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। সরকার আশা করছে যে এটি অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে প্রয়োজনীয় দক্ষতার ঘাটতি পূরণ করবে।
দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ মন্ত্রী ব্রেন্ডন ও'কনর বলেছেন যে তারা নির্বাচিত হওয়ার আগে বারো মাসের মধ্যে কর্মী ঘাটতি আছে এমন তালিকায় পেশার সংখ্যা ১৫৩ থেকে বেড়ে ২৮৬-তে ঠেকেছে।
ঘোষণাটি বিরোধী জোটকে তাদের মূল বার্তা থেকে সরাতে খুব কমই মনোযোগ আকর্ষণ করেছে, যা ছিল গণভোটের ব্যর্থতার অভিযোগ।
বিরোধীদলীয় নেতা পিটার ডাটন চ্যানেল সেভেনকে বলেছেন যে তিনি বিশ্বাস করেন যে অ্যান্থোনি আলবানিজির স্বার্থের কারণে গণভোট পরিচালিত হয়েছিল।
কিন্তু অ্যান্থোনি আলবানিজি বলেছেন যে গণভোটটি লেবারদের প্রচারণা ছিল এমন দাবী অসম্মানজনক।
এদিকে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি নতুন বিশ্লেষণে দেখা যায় যে সরকার যা বলছে, তা সেটি সমর্থন করে। সরকার বলে আসছে যে ভয়েস রেফারেন্ডাম আসলে ফার্স্ট নেশনস সম্প্রদায়গুলি চেয়েছিল। এই সমীক্ষায় তা প্রমাণিত হয়।
অস্ট্রেলিয়ান ইলেক্টোরাল কমিশনের তথ্য থেকে দেখা যায় যে আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ানদের পোলিং এলাকাগুলি গণভোটের জন্য সাংবিধানিক পরিবর্তনকে ব্যাপকভাবে সমর্থন করেছে।
আদমশুমারির তথ্য থেকে দেখা যায় যে গণভোটে ১০টি পোলিং বুথ ক্যাচমেন্ট এলাকার মধ্যে যেখানে সর্বোচ্চ আদিবাসী জনসংখ্যা ছিল, তাদের মধ্যে নয়টিই 'হ্যাঁ' ভোট বেশি দিয়েছে।
এদিকে, এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ভীড়ে জরুরী বিষয়গুলো হারিয়ে যায়নি।
অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের ফ্লোরে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জানানোর একদিন পর, ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত আমির মাইমন লিবারেল পার্টির কক্ষে ভাষণ দিয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত সমাবেশে বলেছেন যে ইসরাইল আত্মরক্ষার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ফেডারেল সরকার বলছে যে তারা মধ্যপ্রাচ্যের অস্ট্রেলিয়ানদের কল্যাণের দিকে মনোনিবেশ করেছে, দুবাই থেকে আরও দুটি প্রত্যাবাসন ফ্লাইট এসে পৌঁছেছে, যেখানে প্রায় ২০০ জন যাত্রীকে ইসরাইল থেকে নিরাপদে নিয়ে এসেছে।
উপ-প্রধানমন্ত্রী রিচার্ড মার্লেস বলেছেন, এই পর্যায়ে আর কোনো ট্রিপের আয়োজন করা হচ্ছে না।
কিন্তু সংঘাত-পীড়িত অঞ্চলটিতে ইসরায়েলের সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপের পর প্রায় ৪৫ জন অস্ট্রেলিয়ান গাজায় পানি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খাবারের সীমিত সরবরাহের কারণে সংকটে রয়েছে।
এই অঞ্চলে এখনও যেসব অস্ট্রেলিয়ানরা আছে তাদের মিশর এবং গাজার মধ্যে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেখানে হয়তো মানবিক কারণে সীমান্ত খোলা হতে পারে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং বলেছেন যে এটি কখন ঘটবে বা এটি কতক্ষণ খোলা থাকবে তার কোনও গ্যারান্টি নেই - তবে আলোচনা চলছে।
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারে ক্লিক করুন।
৫ অক্টোবর থেকে নতুন চ্যানেলে ও নতুন সময়ে SBS Bangla Credit: SBS
প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার, বিকাল ৩টায়, এসবিএস পপদেশীতে আমাদের অনুষ্ঠান শুনুন, লাইভ।
কিংবা, বিদ্যমান সময়সূচীতেও আপনি আমাদের অনুষ্ঠান শোনা চালিয়ে যেতে পারেন। প্রতি সোম ও শনিবার, সন্ধ্যা ৬টায়, এসবিএস-২ তে।