সিতারা’স স্টোরি: ‘কোন কিছুই যেন শেষ না হয়’

SiTara's Story

Mental health and first aid training organised by SiTara's Story. Source: Supplied

আত্মহত্যা করে সাথী! পরীক্ষা ফির অবশিষ্ট টাকা দিতে না পারলে আবারো শাস্তি দিবে শিক্ষক, অপমানিত হতে হবে সহপাঠীদের সামনে, এমন ভয়ে আত্মহননের পথ বেছে নেন চা৥দপুরের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী সাথী আক্তার।


ঘটনাটা ২০১৬ সালের। অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় নিজ বাসায় বসে বাংলা পত্রিকায় মর্মান্তিক এ খবর পড়ছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশী শামারূহ মির্জা। 

‘‘সাথীর পরীক্ষার ফি ছিল ৪০০ টাকা। তার দিনমজুর বাবা একবারে পুরো টাকা দিতে পারেননি। ৩২০ টাকা পরিশোধ করলেও বাকি ৮০ টাকা না দিতে পারায় আগের দিন স্কুলের সামনে রোদের মধ্যে সাথীকে ১ ঘন্টা দা৥ড় করিয়ে রাখেন সহকারী প্রধান শিক্ষক। এ লজ্জাতেই পরদিন মেয়েটি আত্মহত্যা করে,” বলছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ডিপার্টমেন্ট অব হেলথের বিজ্ঞানী শামারূহ।
SiTara's Story
স্কুল পর্যায়ে চলছে প্রশিক্ষণ। Source: Supplied
সাথীর আত্মহননের ঘটনা বেশ নাড়া দেয় শামারূহ এবং তার পরিচিতজনদের। প্রবাসে থেকেও নিজ দেশের গ্রামীণ এবং পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য কিছু একটা করার তাগাদা অনুভব করা থেকেই সৃষ্টি ‘সিতারা’স স্টোরি’। 

‘‘আমাদের প্রধান কাজই হচ্ছে বাংলাদেশের গ্রামীণ নারীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা। তাদেরকে শিক্ষিত করে তোলা, আস্থা বাড়ানো। কোন কিছুই যেন শেষ না হয়,” বলেছেন সিতারা’স স্টোরির প্রতিষ্ঠাতা শামারূহ মির্জা।

‘‘বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত তারামন বিবি এবং সিতারা বেগমের নামানুসারে আমাদের এ সংগঠনের নামকরণ করা হয়েছে।”
SiTara's Story
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশিক্ষণে গ্রামীন মহিলারা। Source: Supplied
২০১৭ সালের মে মাসে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত সংগঠনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের পা৥চটি স্কুলের প্রায় সাতশ ছাত্র, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের পিতা-মাতাকে দেয়া হয়েছে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রশিক্ষণ। সাথে সাথে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে প্রাথমিক চিকি঳সা সেবার।  

‘‘আমাদের আগামীর পরিকল্পনা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য ফেরত নির্যাতিত নারীদের পুনর্বাসনে কাজ করা,” বলেছেন শামারূহ মির্জা।

Image

সংগঠনের বর্তমান কার্যনির্বাহী সদস্য সংখ্যা ৫ জন। পরামর্শক পরিষদে আছেন ৪ জন। যে কেউই এ সংগঠনের হয়ে স্বেচ্ছাশ্রম দিতে পারেন, এমনটাই জানালেন শামারূহ মির্জা। 

বাংলায় পুরো সংবাদ শুনতে ওপরের অডিও লিংকে ক্লিক করুন। 


Share