বহু পরিবারের দৈনন্দিন খাবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো মাংস।
আর জামিল আওয়াদ ও তার স্ত্রী জুমান আবদোহসহ সব মুসলিম পরিবারের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মাংসটি হালাল কিনা তা নিশ্চিত করা।
কিন্তু যখন দেশের কেন্দ্রীয় ইসলামী সংগঠন বলে, যে আপনি যে হালাল-প্রত্যয়িত মুরগির মাংস খাচ্ছেন তা হালাল নাও হতে পারে, তখন ব্যাপারটি জটিল হয়ে দাঁড়ায়।
জুমান বলেন, এই প্রতিবেদনটি তাকে এবং আরও অনেককেই পুরোপুরি আতঙ্কিত করে তুলেছে।
ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী, কোনো মাংসকে হালাল বা খাওয়ার জন্য অনুমোদিত হিসাবে প্রত্যয়ন করার সময় বেশ কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করা দরকার হয়।
এর মধ্যে একটি হলো জবাই করার সময় প্রাণীটি জীবিত ও সুস্থ আছে কিনা তা নিশ্চিত করা।
অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইমাম কাউন্সিল একটি কসাইখানা পরিদর্শন করেছে যেখানে তারা ২৯ টি মুরগী পরীক্ষা করেছে।
কাউন্সিলের একজন প্রতিনিধি ইব্রাহিম দাদুন বলেন, সতর্কতার সাথে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তারা দেখেছেন যে কন্ট্রোলড অ্যাটমস্ফিয়ার স্টানিং বা সিএএস পদ্ধতিতে হত্যা করা মুরগীর মাংস হালাল বা খাওয়ার জন্য উপযুক্ত নয়।
কিন্তু ভিন্ন-মতও রয়েছে।
মোহাম্মদ ট্রাড হচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেশন অব ইসলামিক কাউন্সিলের একজন প্রতিনিধি, যারা সিএএস পদ্ধতি ব্যবহার করে এমন কসাইখানার মাংসকেও সার্টিফিকেট দেয়। তিনি বলছেন যে তাদের সমীক্ষায় প্রাপ্ত তথ্য এরকম সিদ্ধান্তে আসার জন্যে অপর্যাপ্ত।
অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইসলামিক স্টাডিজ বিশেষজ্ঞ ড. ইভা নিসা স্বীকার করেছেন যে সিএএস পদ্ধতি নিয়ে পরিষ্কার দিকনির্দেশনা না থাকায় ব্যাপারটি দ্বন্দ্ব তৈরি করতে পারে।
সারা দেশে শত শত কসাইখানা রয়েছে যারা তাদের দোকানে প্রদর্শিত হালাল স্টিকার নিয়ে গর্ববোধ করে - তবে এই সমীক্ষা ভোক্তাদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করার সাথে সাথে মাংস ব্যবসায়ীদের জন্য একটি নৈতিক দ্বিধাও সৃষ্টি করেছে।
মোহাম্মদ ট্রাড বলেন, এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই অনেক মানুষ তার সাথে টেলিফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন।
যেহেতু বিভ্রান্তি এখনও পরিষ্কার হয়নি, তাই উভয় পক্ষই বলেছে যে তারা আলোচনার জন্য রাজি, যেন মুসলিম সম্প্রদায় এ বিষয়ে আরও পরিষ্কার ধারনা পেতে পারে।
সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ার বাটনে ক্লিক করুন।