২০১৬ সালে ম্যাট কি’আন প্রথম যখন তার পায়ে একটি কাল দাগ দেখতে পান, তখন তিনি এটি নিয়ে তেমন কিছু ভাবেন নি।
এর প্রায় এক মাস পর, তার বাবার অনুরোধে তিনি এটি পরীক্ষা করান। তখন দেখা যায় যে, এটি স্টেজ-থ্রি মেলানোমা।
ইমিউনোথেরাপির মাধ্যমে তার জীবন রক্ষা পায়। এখন তিনি তার জীবন উৎসর্গ করেছেন অন্যদেরকে সহায়তা করার জন্য এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সুপরিচিত হেলথ ক্যাম্পেইন ‘স্লিপ, স্লপ, স্ল্যাপ’-এর ৪০ বর্ষ পূর্তি হচ্ছে এ বছর।
তরুণ প্রজন্মের মাঝে মেলানোমার হার কমাতে সহায়তা করেছে এই প্রচারাভিযানটি। তবে, এখনও প্রতিবছর অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ২,০০০ লোক মারা যায় স্কিন ক্যান্সারে।
আর, অন্য যে-কোনো ক্যান্সারের তুলনায় এই ক্যান্সারের চিকিৎসার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য-ব্যবস্থাপনার বেশি খরচ হয়ে থাকে, যা বছরে প্রায় ১.৬৮ বিলিয়ন ডলার।
ক্যান্সার কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়ার চিফ একজিকিউটিভ তানিয়া বুকানন ফেডারাল সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নতুন একটি স্কিন ক্যান্সার ক্যাম্পেইন পরিচালনা করার জন্য।
নতুন প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তে দেখা গেছে, ২৮ শতাংশ বা প্রতি ৪ জনে ১ জনেরও বেশি অস্ট্রেলিয়ান স্বীকার করেন যে, সামার বা গ্রীষ্মকালে সূর্যতাপ থেকে সুরক্ষার বিষয়টি তাদের দৈনন্দিন কর্মসূচির অংশ নয়।
১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ানদের ২১ শতাংশ বা প্রতি ৫ জনে ১ জন বলেন, ঘরের বাইরে থাকার সময়ে তারা সূর্যতাপ থেকে নিজেদের সুরক্ষার জন্য কিছুই করেন না।
অস্ট্রেলেশিয়ান কলেজ অফ ডার্মাটোলজিস্ট এর প্রফেসর স্টেফান শুমাক এ নিয়ে উদ্বিগ্ন।
করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারীর সময়ে সার্বিকভাবে ক্যান্সার স্ক্রিনিং অনেক কমে গেছে। ২০২০ সালে মেলানোমা ট্রিটমেন্ট ১৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
লকডাউনের কারণে রুটিন মেডিকেল চেক-আপ ব্যাহত হয়েছে। ফলে হাজার হাজার কেস সনাক্ত করা সম্ভব হয় নি।
অস্ট্রেলিয়ায় সামার বা গ্রীষ্মকাল আসছে। তাই, ‘স্লিপ, স্লপ, স্ল্যাপ’ মেসেজের পাশাপাশি আরও বলা হচ্ছে, “সিক শেড” এবং “স্লাইড অন সানগ্লাসেস”।
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।