মুসলমানদের কাছে অন্যতম পবিত্র স্থান হলো কাবা-গৃহ। সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত এই কাবা-গৃহে হজ্জের জন্য প্রতিবছর দুই মিলিয়নেরও বেশি মুসলমান যান। দৈহিক এবং আর্থিক সঙ্গতি থাকলে জীবনে অন্তত একবার হজ্জ পালন করা মুসলমানদের জন্য ফরজ বা অবশ্য কর্তব্য। কারণ, ইসলামের পাঁচটি আরাকান বা স্তম্ভের একটি হলো হজ্জ।
এ বছর হজ্জ বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা। যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক সংগঠন Muslims for Progressive Values এর প্রেসিডেন্ট Ani Zonneveld এই বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন। এই সংগঠনটিতে প্রায় দশ হাজার সদস্য রয়েছে।
"For Muslims to be going to the Hajj to cleanse their souls and to reconnect with God... But by doing so they will be supporting a regime that has done nothing but oppress in Yemen for example. It is really hard to reconcile."
ইয়েমেনে গৃহ-যুদ্ধের কারণে বিশ্বের মুসলমানদের কাছে লিবিয়ার গ্রান্ড মুফতির মতো প্রখ্যাত সুন্নী ইমামগণ প্রথমে হজ্জ বয়কট করার ডাক দেন। সৌদি সরকার সুন্নী ধর্মাবলম্বী। ইয়েমেনের গৃহ-যুদ্ধে লড়াইরত আন্তর্জাতিক কোয়ালিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছে সৌদি সরকার। এই পরিস্থিতিকে জাতিসংঘ বর্ণনা করেছে মানব-সৃষ্ট বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক-সঙ্কট হিসেবে।
সামাজিক-যোগাযোগ-মাধ্যম টুইটারে হজ্জ বয়কটে হ্যাশট্যাগ প্রকাশ করা হয়েছে।
সিডনি-ভিত্তিক ফারাজ রহমান চলচ্চিত্র-নির্মাতা হতে চান। তিনি এই আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন।
“Before there might have been fringe groups here and there, without any traction… but now prominent leaders are calling for it [boycott]. I hope that that leads to other religious authorities to pick up and make similar calls."
ইসলামিক কাউন্সিল অফ ভিক্টোরিয়ার প্রেসিডেন্ট আদেল সালমান ব্যক্তিগতভাবে এই বয়কট সমর্থন করেন না। তবে তিনি বুঝতে পারেন কেন অস্ট্রেলিয়ার বহু মুসলমান এটি জোরালোভাবে সমর্থন করে।
"Performing the Hajj obviously you have to visit Saudi Arabia, you will go to the holy places, clearly that will mean you will be spending money in Saudi Arabia. But most Muslims would see it as a completing of their religious obligations and they would dissociate completely with issues of politics or the Saudi government with their religious obligation."
মালয়েশিয়ান ইউনিভার্সিটি লেকচারার Mukhriz Mat Rus হজ্জের জন্য সরকারের অপেক্ষমান তালিকায় নিবন্ধন করেছেন। এখন তিনি বলছেন, তিনি হজ্জে যাবেন না।
"Put aside politics, but I don’t think I am able to reconcile that."
তিনি বলেন, মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করাও ঈমানের অঙ্গ।
প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।