গত তিন দশকের মধ্যে এবারই প্রথম অস্ট্রেলিয়ার রিটায়ারমেন্ট ইনকাম সিস্টেমের বড় ধরনের পর্যালোচনা করা হতে যাচ্ছে।
এতে এজ পেনশন এবং বাধ্যতামূলক সুপারঅ্যানুয়েশন ও বাড়ির মালিকানাসহ ভলান্টারি সেভিংসের মধ্যকার সম্পর্ক খতিয়ে দেখা হবে।
অবসর-গ্রহণকারীদেরকে কোন বিষয়গুলো সহায়তা করে এবং কোন বিষয়গুলো তাদেরকে অসুবিধায় ফেলে, স্বাধীনভাবে এসব তদন্ত করে দেখবে বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল।
ট্রেজারার জশ ফ্রাইডেনবার্গ বলেন, বিদ্যমান সিস্টেম খতিয়ে দেখা হবে এই পর্যালোচনায়।
অস্ট্রেলিয়ানরা দীর্ঘজীবন লাভ করেন আর জনগণের বয়সও বাড়ছে। এই পর্যালোচনায় এটাও দেখা হবে যে, ভবিষ্যতে এই ব্যবস্থা কীভাবে কাজ করবে।
বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন অবসর-গ্রহণকারীদের বাড়ির মালিকানার ক্ষেত্রে অবনতি দেখা যাবে। মালিকানার বর্তমান হার ৭৫ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে আগামী ত্রিশ বছরে ৬০ শতাংশের নিচে চলে যাবে।
তবে, লেবার দলের ট্রেজারী বিষয়ক মুখপাত্র Jim Chalmers এই পর্যালোচনা চালানোর সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সরকারের রেকর্ডের সমালোচনাও করেন তিনি।
সরকার বলছে, এজ পেনশন অ্যাসেটস টেস্টে পারিবারিক বাড়ি অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। আর, অস্ট্রেলিয়ানদেরকে আশ্বস্ত করে বলছে, অবসরে যাওয়ার বয়স ৭০ বছরে উন্নীত করা হবে না।
মিস্টার ফ্রাইডেনবার্গও বলেছেন, বাধ্যতামূলক সুপারঅ্যানুয়েশন সেভিংস রেটের বৃদ্ধি ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে। সাড়ে ৯ শতাংশ থেকে এটি ২০২৫ সাল নাগাদ ১২ শতাংশে উন্নীত করা হবে। এ বিষয়ে জনগণের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে।
অবসর-গ্রহণকারীদের সমর্থকরা বলেন, দীর্ঘদিন এই সিস্টেমটির পর্যালোচনা করা হয় নি।
ন্যাশনাল সিনিয়র্স অস্ট্রেলিয়া মুখপাত্র Craig Sullivan বলেন, পর্যালোচনায় আয়ের অসাম্যের প্রতি দৃষ্টি দেওয়া উচিত।
নভেম্বরে একটি কনসাল্টেশন পেপার প্রকাশ করা হবে। আর চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের সময়সীমা আগামী বছর জুন মাস পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।