ওটিটি প্ল্যাটফর্ম তথা অডিও-ভিজ্যুয়াল মিডিয়ার প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের সাথে সাথে প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছেন নতুন নতুন নির্মাতা। তবে অমিতাভ রেজা চৌধুরী এই মুহূর্তে বেশ কয়েকজন নির্মাতার কথা উল্লেখ করেছেন যারা ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সাফল্যের সাথে কাজ করছেন, এদের মধ্যে আছেন শাওকী, তানিম ও নুহাশ।
মি. চৌধুরী জানান তিনি পথ প্রোডাকশনের সহযোগিতায় একটি ওটিটি ওয়েব সিরিজ প্রকল্প উন্নয়নের কাজ করছেন।
অস্ট্রেলিয়ার অনাবাসী-বাংলাদেশিদের জীবন নিয়ে একটি ওয়েব সিরিজ নির্মাণের প্রক্রিয়া হিসেবে স্ক্রিপ্ট, লোকেশন এবং কাস্টিং নির্বাচনের কাজটি সফলভাবে শেষ হয়েছে বলে জানান তিনি।
ঢাকায় ফিরে তিনি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে এর নির্মাণের প্রস্তাব করবেন এবং পরবর্তী ধাপে এটির শুটিং শুরু করার প্রত্যাশা করছেন বলে জানান মি. চৌধুরী।
চলচ্চিত্রের গল্পে কোন চমক দিতে চান না অমিতাভ রেজা চৌধুরী।
"আয়নাবাজিতে ওটা ছিল, এবং এজন্য আমি দুঃখিত, চমক, গ্ল্যামার, উত্তেজনা বাদ দিয়ে আমি আসলে গল্প বলতে চাই, এবং আমার জীবনের অভিজ্ঞতায় আমি যেসব মানুষের সাথে মিশি, যেসব মানুষের অনুভূতির সাথে আমি ইন্টারেক্ট করি, আমি সেই অনুভূতির এক ধরণের এক্সারসাইজ করতে চাই, এবং আমি একেকটা ছবি নির্মাণের সাথে সাথে, ওই মানুষগুলো, ওই চরিত্রগুলোর সাথে এক ধরণের জার্নিতে যেতে চাই, হয়তোবা সেটাতেই আমি বেঁচে থাকি," বলেন তিনি।
বাংলাদেশ সরকার বেশ কয়েক বছর ধরে চলচ্চিত্রে অনুদান দিচ্ছে, যে কমিটিতে অমিতাভ রেজা চৌধুরী সদস্য হিসেবে ছিলেন।
তবে সেখান থেকে একটিও মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মিত হয়নি বলে মনে করেন মি. চৌধুরী।
তিনি বলেন, আমি অনুদান কমিটিকে নতুন প্রস্তাব দিচ্ছি, আন্তর্জাতিক পরিসরে যেভাবে পিচিং সেশনের মাধ্যমে অনুদান দেয়া হয়, সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করার জন্য।
অমিতাভ রেজা চৌধুরীর সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় ও শেষ পর্বটি শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা অডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত।