অস্ট্রেলিয়ার সর্ববৃহৎ ডাটা প্রযুক্তির উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা ‘গভহ্যাক’ (GovHack) অনুষ্ঠিত হয়েছে গত অগাস্ট মাসে। এতে অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশি প্রযুক্তিবিদের একটি দল, তাদের উদ্ভাবিত বিষয় হচ্ছে কমিউনিটিকে সতর্ক করতে ‘ইনস্ট্যান্ট ফায়ার এলার্ট সিস্টেম’ বা iFAS।
বাংলাদেশি প্রযুক্তিবিদের এই দলের পক্ষে রিসার্চ এন্ড ইভেলুয়েশন স্পেশালিষ্ট ডঃ সায়েম হোসেইন এবং ডাটা সায়েন্টিস্ট ডঃ মোস্তফা শেখ এসবিএস বাংলাকে জানাচ্ছেন তাদের প্রকল্পের সর্বশেষ অগ্রগতি এবং তাদের ভবিষ্যৎ প্ল্যাটফর্ম নিয়ে।
হাইলাইটস
- iFAS প্রকল্পটি টেলস্ট্রা ক্যাটাগরির সেরা পাঁচটি প্রকল্পের ফাইনাল লিস্টে স্থান পেয়েছে।
- ‘ইনস্ট্যান্ট ফায়ার এলার্ট সিস্টেম’ বাস্তবায়ন করা গেলে এটি ন্যানো সেকেন্ডে বুশফায়ার-প্রবন এলাকায় কমিউনিটিকে সতর্ক করতে পারবে।
- তবে এটির বাস্তবায়নে প্রয়োজন সরকারি উদ্যোগ কারণ প্রকল্পটি বেশ ব্যাপক ও ব্যয়বহুল।
ডাটা লিটেরেসি ভিত্তিক ভবিষ্যৎ প্রকল্প ‘দীক্ষা'
ডঃ সায়েম হুসেইন এবং ডঃ মুস্তফা শেখসহ তাদের দলটি এখন থেকেই কিশোর-তরুণ বয়সীদের উপযোগী করে ডাটা লিটারেসি প্ল্যাটফর্ম 'দীক্ষা' নামের প্রকল্পের কার্য্যক্রম শুরু করেছেন।ডঃ মুস্তফা বলেন, “অদূর ভবিষ্যতে আমাদের কমপ্লেক্স ডাটা বিশ্লেষণ করতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশ্ব অনেক এগিয়ে গেছে, তাই শিক্ষার্থীদের এখন থেকেই ডাটা লিটেরেসিতে দক্ষ করে তুলতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।”
Dr Mostafa Sheikh Source: Dr Mostafa Sheikh
তিনি বলেন, “আমাদের শিক্ষার মান ন্যক্কারজনক পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবেই আমরা এই মাইক্রো লার্নিং প্ল্যাটফর্মটি গড়ে তুলতে চাই। আমরা পাইথন কোডিংসহ আরও অনেক বিষয়ে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষিত করে তুলতে চাই।”
ডঃ সায়েম 'দীক্ষা' প্রকল্পের প্রসঙ্গে বলেন, শিক্ষা-প্রযুক্তি-উদ্ভাবন বা গ্লোবাল নলেজ ইনডেক্সে বাংলাদেশের অবস্থান এশিয়ার মধ্যে অনেক নীচে।তিনি বলেন, "আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি, কিংবা অন্যান্য সেক্টরে আমরা ভালো করলেও শিক্ষা খাতে উন্নতি হচ্ছে না। আমরা অস্ট্রেলিয়া থেকে যে প্রযুক্তি বিষয়ক শিক্ষাগুলো নিয়েছি সেগুলো কিভাবে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের দিতে পারি বা যে গ্যাপটা আছে তা পূরণ করতে পারি সেই দিকগুলো বিবেচনা করে কাজ করে যাচ্ছি।"
Dr Sayem Hossain Source: Dr Sayem Hossain
তিনি বলেন, 'দীক্ষা' নামের প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে উন্নত দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সাথে বাংলাদেশের যে ফারাক সেই শূন্যস্থানটি পূর্ণ করা।
ডঃ সায়েম জানান, তিনি প্রকল্পটি এগিয়ে নিতে এই সেক্টরে কাজ করছেন এমন আরো অনেককে যুক্ত করার চেষ্টা করছেন।
ডঃ সায়েম এবং ডঃ মুস্তফার পুরো সাক্ষাতকারটি শুনতে ওপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন
আরো দেখুনঃ