একজন অনলাইন ড্রাগ মার্কেট বিশেষজ্ঞ বলেন, এ ধরণের অবৈধ অনলাইন মার্কেটপ্লেস বা ডার্কনেট ব্যবহারকারীরা অজ্ঞাত থাকে এবং তাদেরকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা খুঁজে পায় না।
ডার্কনেট ব্যবহারকারীরা লুকানো ওয়েবসাইট-এ প্রবেশ করে লেনদেন করে, এতে কর্তৃপক্ষ দায়ী ব্যক্তিদের ধরতে সমর্থ হয় না।
একজন ৩৪ বছর বয়স্ক অস্ট্রেলিয়ান জার্মান-ড্যানিশ বর্ডারে এমনি একটি ড্রাগ মার্কেট পরিচালনার অভিযোগে আটক হয়েছেন।
প্রসিকিউটররা অভিযোগ করে বলেছেন এই ডার্ক মার্কেট সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে বড় অবৈধ মার্কেটপ্লেস যেখানে অন্তত ২,৫০০ বিক্রেতা রয়েছে।
ওই সাইটে অন্তত ৩২০,০০০ লেনদেন হয়েছে যার মধ্যে আছে ড্রাগ বিক্রি, চোরাই কিংবা জাল ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার, এবং জাল টাকার ব্যবহার।
জেমস মার্টিন সুইনবার্ন ইউনিভার্সিটির ক্রিমিনোলজি বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর। তিনি এবিসি নিউজকে বলেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য এইসব সাইটগুলো অফলাইনে নেয়া কঠিন।
মেলবোর্ন-এর আরএমআইটি ইউনিভার্সিটির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ডঃ মনিকা বারাট বলেন, ডার্ক নেটের সাথে সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের পরিচয় ইতিবাচক কারণে সুরক্ষা দিয়ে থাকে। তাছাড়া রাজনৈতিক কারণে নিজ দেশে কেউ হয়রানির শিকার হওয়া থেকেও তারা এতে রক্ষা পেতে পারে।
তিনি বলেন, অনেকেই অনলাইন নজরদারির মুখোমুখি হতে চায় না এবং তারা সরকারি নজরদারি থেকে ব্যক্তিগত সুরক্ষা চায়।
ডঃ বারাট বলেন, ডার্ক মার্কেটগুলো নারী কেন্দ্রিক সার্ভিসের জন্য ব্যবহৃত হতো।
ডার্ক মার্কেটের তদন্তে জড়িত আছে জার্মান তদন্তকারী দল, যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই এবং ইউরোপোল।
এই সাইটগুলোর সার্ভার মলদোভা এবং ইউক্রেইন ভিত্তিক এবং এগুলো এই সপ্তাহে বন্ধ হয়ে গেছে।
এসোসিয়েট প্রফেসর জেমস মারটিন বলেন, পশ্চিমা বিশ্বের মানুষেরাই ডার্ক মার্কেট ব্যবহার করে বেশি।
ধারনা করা হয় ডার্ক মার্কেটের লেনদেন মূল্য প্রায় ২২১ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার ।
অস্ট্রেলিয়ান ডিপার্টমেন্ট অফ ফরেইন অ্যাফেয়ার্স এন্ড ট্রেড বলেছে তারা এই মামলার রিপোর্টের বিষয়ে অবগত এবং তারা ধৃত ব্যক্তিকে কূটনৈতিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত ।
আরও দেখুনঃ