কাতারের রাজধানী দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১০টি ফ্লাইটের নারী যাত্রীদেরকে বিবস্ত্র করে তল্লাশি করার ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে অস্ট্রেলিয়া।
২ অক্টোবর সিডনিগামী কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটের নারী যাত্রীদেরকে প্লেন থেকে নামিয়ে টারম্যাকে দাঁড় করানো একটি অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে নগ্ন করে দেহ তল্লাশি করা হয়।
এই ঘটনায় অন্যান্য নারী যাত্রীর সঙ্গে ১৩ জন অস্ট্রেলীয় নারীকে এ দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
ঘটনার দিন বিমানবন্দরের টয়লেটে ময়লার ঝুঁড়িতে প্লাস্টিকের ব্যাগের মধ্যে ।
এর জন্য দায়ী ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে এই তল্লাশি চালানো হয় বলে জানা গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ রকম ঘটনা নতুন নয়। বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন বিমানবন্দরে আগেও এ রকম তল্লাশি চালানো হয়েছে, এখনও হচ্ছে।
১৯৮২ সাল পর্যন্ত, ফিয়ান্সে ভিসায় যুক্তরাজ্যগামী সাউথ এশিয়ান নারীদেরকে বিমানবন্দরে তথাকথিত “কুমারিত্বের পরীক্ষা” দিতে হতো।
ফ্লিন্ডার্স ইউনিভার্সিটির আইনের অধ্যাপক ম্যারিনেলা মারমো এসবিএস নিউজ-কে বলেন, সেই নারীরা সত্যিকারের বাগ্দত্তা কিনা সেটি পরীক্ষা করার জন্য যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তারা তাদের সতিচ্ছেদ পরীক্ষা করতো।
তিনি বলেন,
“এটি একটি বিশেষ ধরনের ভিসা ছিল। তাই তারা সত্যিকারের কুমারী কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হতো।”
“ফিয়ান্সে হতে হলে কুমারী হতে হতো।”ফ্লিন্ডার্স ইউনিভার্সিটির মেডিকেল ডাইরেক্টর ড. রোজালি গ্রিভেল এসবিএস নিউজকে বলেন,
A parked Qatari plane at Doha's Hamad International Airport in 2017. Source: AP
“একজন নারীকে দৈহিকভাবে পরীক্ষণের সত্যিই কোনো কারণ নেই। আর, সঠিকভাবে এটা বলার উপায় নেই যে তিনি এখন সন্তান প্রসব করেছেন কিনা।”
“প্রসবের পর কয়েক দিন পর্যন্ত রক্ত কিংবা মুত্র পরীক্ষা করে এটা বোঝা যাবে। তাই, এটাই সঠিক উপায়।”
দোহার বিমানবন্দরে পাওয়া নবজাতক শিশুটির পরিচয় এখনও সনাক্ত করা যায় নি।