লুসি মুর বলেন, পাঁচ মাস আগে একটি গানের উৎসবে তাকে স্ট্রিপ-সার্চ করে পুলিশ। এখনও তিনি এটা নিয়ে দুঃস্বপ্ন দেখেন।
তার কাছে কোনো অবৈধ ড্রাগ পাওয়া যায় নি। তারপরও তাকে সেই উৎসবে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। এখন তিনি নিউ সাউথ ওয়েলসে স্ট্রিপ-সার্চ আইনটি পরিবর্তনের আহ্বান জানাচ্ছেন।
সিডনির রেডফার্ন লিগাল সেন্টার এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় যে, স্থানীয় লোকদেরকে নগ্ন করে তল্লাশী চালানোর ঘটনা বেড়েছে।
রেডফার্ন লিগাল সেন্টারের হেড অফ পুলিস অ্যাকাউন্টেবিলিটি সামান্থা লি বলেন, আজকাল স্ট্রিপ সার্চের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ফ্রিডম অফ ইনফরমেশন রিকোয়েস্ট-এ দেখা যায়, নিউ সাউথ ওয়েলসে গত ১২ বছরে নাটকীয়ভাবে ফিল্ড স্ট্রিপ সার্চের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০০৫/২০০৬ সালে মাত্র ২৭৭টি ঘটনা ছিল। কিন্তু, ২০১৭/২০১৮ সালে ৫,৪০০ এরও বেশি স্ট্রিপ-সার্চের ঘটনা ঘটে। বলা হয়ে থাকে যে, স্ট্রিপ-সার্চের যতো ঘটনা ঘটে সেগুলোর শতকরা দশ ভাগই ইনডিজেনাস বা স্থানীয় অস্ট্রেলিয়ানদের।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিস বলছে, অফিসাররা স্ট্রিপ-সার্চ করার বিষয়টি উপভোগ করেন না। কিন্তু, এটা প্রয়োজনীয় এবং এর মাধ্যমে আগ্নেয়াস্ত্র, অন্যান্য অস্ত্র এবং অবৈধ ড্রাগ খুঁজে বের করা যায়।
নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গবেষক, ভিকি সেন্টাস বলেন, এ বিষয়ে অধিকতর স্বচ্ছতা এবং দায়বদ্ধতার প্রয়োজন রয়েছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস ছাড়া অন্য স্টেটগুলোর পুলিশ স্ট্রিপ সার্চ বিষয়ক তথ্য দেয় নি। কিন্তু, রেডফার্ন লিগাল সেন্টারের প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে যে, দেশ জুড়ে এই বিষয়টির সংস্কার করতে হবে।
প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।