হেলথ প্রটোকল বা স্বাস্থ্য-বিধির বড় ধরনের লঙ্ঘনের মাধ্যমে সিডনি এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে গেলেন ১৩৭ জন যাত্রী। মেলবোর্ন থেকে আগত এই যাত্রীদেরকে সিডনি এয়ারপোর্টে করোনাভাইরাস স্ক্রিনিং করা হয় নি।
জেটস্টার এয়ারলাইন্স-এর JQ250 ফ্লাইটে করে মেলবোর্ন থেকে সিডনিতে এসেছিলেন তারা। বিমানটি গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টার একটু আগে সিডনিতে পৌঁছায়।
নিউ সাউথ ওয়েলসের চিফ হেলথ অফিসার কেরি চ্যান্ট বলেন, ফ্লাইটটি পৌঁছানোর সময়ে স্ক্রিনিংয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত হেলথ টিমটি আরেকটি প্লেনের যাত্রীদের স্ক্রিনিং করছিলেন।
বুধবার রিপোর্টারদেরকে ড. চ্যান্ট বলেন,
“যাত্রীদের অবতরণের পর এয়ারপোর্টে একটু সমস্যার সৃষ্টি হয়। তখন হেলথ স্ক্রিনিং টিম আরেকটি প্লেন স্ক্রিনিং করছিলেন।”
“এয়ারপোর্টে এখন প্রটোকল কার্যকর করা নিশ্চিত করা হয়েছে যে, হেলথ টিমগুলো সেখানে থাকছে এবং তারা স্ক্রিনিং করতে পারছে এবং এসব ছাড়া কেউ অবতরণ করার অনুমতি পাবে না।”
এক বিবৃতিতে নিউ সাউথ ওয়েলস হেলথ-এর একজন মুখপাত্র বলেন, এয়ারলাইনের কর্মীরা যাত্রীদেরকে গেটের বাইরে যেতে দিয়েছে এবং স্ক্রিনিং প্রটোকল ভঙ্গ করেছে।
নিয়ম লঙ্ঘিত হওয়ার বিষয়ে সতর্ক করা হলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা, বিমানবন্দর কর্মীরা এবং পুলিশ তখন সেই ১৩৭ জন যাত্রীর মধ্য থেকে ৮৯ জনকে স্ক্রিনিং করার জন্য গেটে ফিরিয়ে আনেন।
এদিকে, ৪৮ জন যাত্রী ততক্ষণে টার্মিনাল ছেড়ে চলে গেছেন। নিউ সাউথ ওয়েলস হেলথ তাদের মধ্য থেকে ৪৫ জনকে স্ক্রিনিং করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
বাকি ৩ জন যাত্রী স্ক্রিনিং করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশকে বলা হয়েছে।
ড. চ্যান্ট বলেন,
“কেউ যদি কোনো ধরনের নিয়ম লঙ্ঘন করে ভ্রমণ করেন তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশকে বলবো। কারও মাঝে যদি উপসর্গ দেখা দেয়, কমিউনিটির সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য তখন সে অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।”
রাজ্য ছেড়ে যাওয়া ভ্রমণকারীদের আইডি এবং তাপমাত্রা পরীক্ষা করে দেখছে ভিক্টোরিয়ান কর্তৃপক্ষ। তাই, সেখান থেকে আসা এই যাত্রীদের বিমান ছাড়ার আগেই পরীক্ষা করার কথা ছিল।
জেটস্টারের একজন মুখপাত্র বলেন, যাত্রীদের অবস্থান-স্থল খুঁজে পেতে সহায়তা করেছে এই এয়ারলাইনটি।
এসবিএস নিউজকে তাদের মুখপাত্র বলেন,
“সিডনি এয়ারপোর্টের সঙ্গে মিলে আমরা আমাদের অবতরণ প্রক্রিয়ার সংশোধন করছি, যেন এ রকম ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে।”
পাবলিক হাউজিং টাওয়ারগুলোর ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের মধ্যে যাদের সাহায্য-সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে, তারা হাউজিং কল সেন্টারে 1800 961 054 নম্বরে কল করতে পারেন।
আপনার যদি একজন দোভাষীর প্রয়োজন হয়, তাহলে কল করুন 131 450 নম্বরে।
এই পরিষেবাগুলো দিনে ২৪ ঘণ্টা এবং সপ্তাহে ৭ দিনই পাওয়া যায়। আরও তথ্যের জন্য দেখুন ।
অস্ট্রেলিয়ার জনগণকে অবশ্যই পরস্পরের মাঝে কমপক্ষে ১.৫ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ।
অস্ট্রেলিয়া জুড়ে করোনাভাইরাস পরীক্ষা এখন ব্যাপকভাবে বিস্তৃত করা হয়েছে। আপনার মাঝে যদি সর্দি-কাশির (কোল্ড কিংবা ফ্লু) লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে আপনার ডাক্তারকে কল করে কিংবা করোনাভাইরাস হেলথ ইনফরমেশন হটলাইন, 1800 020 080 নম্বরে কল করে টেস্টের ব্যবস্থা করুন।
আপনার মোবাইল ফোনের অ্যাপ স্টোর থেকে ফেডারাল সরকারের করোনাভাইরাস ট্রেসিং অ্যাপ COVIDSafe ডাউনলোড করা যাবে।
আপনার যদি শ্বাস-কষ্ট কিংবা মেডিকেল ইমার্জেন্সি দেখা দেয়, তাহলে 000 নম্বরে কল করুন।
অস্ট্রেলিয়ার বৈচিত্রময় সম্প্রদায়গুলোকে কোভিড-১৯ এর সর্বশেষ অবস্থা জানাতে এসবিএস দৃঢ়প্রতীজ্ঞ। ৬৩ টি ভাষায় এ বিষয়ক সংবাদ ও তথ্য পেতে ভিজিট করুন: .
বাংলায় করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) বিষয়ক আমাদের সর্বশেষ আপডেটের জন্য ভিজিট করুন: