টুরিস্ট ভিসা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় এসে চীনা নাগরিকরা শরণার্থী মর্যাদা চাইছে, দাবি লেবারের

অস্ট্রেলিয়ার বিরোধী দল লেবার পার্টির ইমিগ্রেশন বিষয়ক মুখপাত্র ক্রিস্টিনা কেনেলি বলেছেন যে চীনের নাগরিকদের জন্য অনলাইনে টুরিস্ট ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে, আর এতে অস্ট্রেলিয়ায় বিমানে করে ভ্রমণে এসে হাজার হাজার চীনা পর্যটক শরণার্থী মর্যাদা চাইছে।

Senator Kristina Keneally

Labor Senator Kristina Keneally Source: AAP

আজ শুক্রবার মেলবোর্নে ল কাউন্সিল অফ ভিক্টোরিয়ার এক ইমিগ্রেশন ল কনফারেন্সে ক্রিস্টিনা কেনেলি বলেন, ওই ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়ার পরিবর্তনের ফলে অস্ট্রেলিয়ায় শরণার্থী মর্যাদা চেয়ে আবেদন করেছে ৭,৩০৪ জন যা আগের চেয়ে শতকরা ৭০০ ভাগ বেশি। 

১৯১৭ সালের মার্চে অনলাইন ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার পরিবর্তনের আগের বারো মাসে এই সংখ্যা ছিল ১,০৬০ টি। 

তবে সিনেটর কেনেলি বলেন, "এটি কোন ব্যক্তির জাতীয়তার বিষয় নয় - এটি বরং ইমিগ্রেশন সিস্টেম ঠিকমত কাজ করছে কিনা তা ভাবার বিষয়, এবং এর ফলে ভিসা আবেদনের সংখ্যা বেড়ে গিয়ে প্রচুর কাজ জমে যাচ্ছে।"
The number of people who have had their claims rejected after arriving by air increased to nearly 50,000.
The number of people who have had their claims rejected after arriving by air increased to nearly 50,000. Source: AAP
কনফারেন্সে আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে সিনেটর কেনেলি বলেন, "শরণার্থী মর্যাদা চাওয়ার বিষয়টি কোন বিদেশী নাগরিকের ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ অধিকার যা আমাদের রক্ষা করতে হবে এবং আপনারা এ অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। কিন্তু একটি সিস্টেম যখন অতি ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ে, তখন প্রকৃত দাবিদাররা শরণার্থী মর্যাদা দাবির ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ে কিংবা অনুৎসাহিত হয়। " 

সিনেটর কেনেলি বলেন, গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় একশো হাজার ব্যক্তি বিমানে করে অস্ট্রেলিয়ায় ভ্রমণে এসে আশ্রয় চেয়েছেন যার মধ্যে ৯০ ভাগের আবেদনই বৈধ ছিল না। 

গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে অস্ট্রেলিয়ান এয়ারপোর্টগুলোতে অবতরণ করার পর প্রতিদিন প্রায় ৮০ জন করে ব্যক্তি আশ্রয়ের আবেদন করছেন। 

সেসময় ইমিগ্র্যাশন মিনিস্টার ডেভিড কোলম্যান বলেছিলেন যে তার সরকারের পলিসি ঠিকই আছে এবং প্লেনে করে এসে শরণার্থী মর্যাদা চাওয়ার সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় একই সময়ে প্রায় ১২ ভাগ কমে গেছে।

তিনি বলেন, "আমরা লেবারের কাছ থেকে কোন পরামর্শ নেবো না, তাদের সীমান্ত অব্যবস্থাপনা ছিল চরম অমর্যাদাকর।"

"যারা অস্ট্রেলিয়াতে বৈধভাবে আসে তাদের মধ্যে মাত্র শতকরা ০.২৫ ভাগ লোক প্রটেকশনের আবেদন করে, আর তাদের মধ্যে বেশিরভাগ আবেদনই অগ্রাহ্য হয়।"

তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিমানে করে আসা ব্যক্তিদের আশ্রয় চাওয়ার আবেদন কমে গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এই সংখ্যা ছিল ২৪,৫২০ যা আগের বছরে ছিল ২৭,৮৮৪ টি।  তবে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের তুলনায় তা ছিল অনেক বেশি, তখন আবেদনের সংখ্যা ছিল ১৮, ২৬৭ টি। 

আরো পড়ুন: 

Share
Published 6 March 2020 5:03pm
By Maani Truu
Presented by Shahan Alam
Source: SBS

Share this with family and friends