হাভিয়ের পেরেজ ডে কুয়েইয়ার ১৯২০ সালের ১৯ জানুয়ারি পেরুর রাজধানি লিমাতে জন্মগ্রহণ করেন।
গত ১৯ জানুয়ারি তার শততম জন্মদিনে তাকে নিয়ে গর্ব ও আনন্দ প্রকাশ করেছিলেন জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব অ্যান্তনিও গুয়েতেরেস। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেছিলেন, এই তাৎপর্যপূর্ণ উপলক্ষ উদযাপনে জাতিসংঘের প্রধান হিসেবে তার বিভিন্ন অবদান ও সফলতার জন্য গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।
হাভিয়ের পেরেজ ডে কুয়েইয়ার ১৯৮১ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের মহাসচিব ছিলেন। তার কাজ এবং স্বভাবের জন্য তাকে 'শান্তিবাদী' বলে অভিহিত করা হতো।
শান্তির অন্বেষায় জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে তিনি অনেক অবদান রেখেছেন, যার মধ্যে যেসব বিষয়ের জন্য তিনি ইতিহাসে স্থান পাবেন তার মধ্যে আছে ইরান-ইরাক যুদ্ধ বন্ধ করা এবং নামিবিয়ার স্বাধীনতা অর্জনে সহায়তা করা।
উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হাভিয়ের পেরেজ ডে কুয়েইয়ার তার বর্ণাঢ্য পেশাদার কূটনীতিক জীবনে পেরুর হয়ে ইউরোপ এবং দক্ষিণ আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশে কূটনৈতিক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি জাতিসংঘের মহাসচিব থাকা অবস্থায় ইরান-ইরাক যুদ্ধ ছাড়াও এলসালভেদরের গৃহযুদ্ধ থামাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।
পেরুতে তিনি অনেক জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও ১৯৯৫ সালে পেরুর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফুজিমোরির কাছে হেরে যান। তবে তিনি সবসময়েই ফুজিমোরি সরকারের নজরদারি এবং ফোন ট্যাপিংয়ের শিকার হয়েছিলেন।
২০০০ সালের নভেম্বরে ফুজিমোরি সরকারের পতন হলে তিনি পেরুর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন। এরপর ২০০১ সালে তিনি ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন।
আগামীকাল শুক্রবার সাবেক এই জাতিসংঘ মহাসচিবের শেষকৃত্যের আগে তার মরদেহ পেরুর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন তার ছেলে ফ্রান্সিসকো।
আরো পড়ুন: