ফেডারেল সরকারের সহায়তা থেকে বঞ্চিত অস্থায়ী ভিসাধারী, শরণার্থী এবং কাগজপত্র নেই এমন অভিবাসীদের ভিক্টোরিয়া সরকার ৮০০ ডলার করে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে, এই অভিবাসীরা করোনাভাইরাসের কারণে তীব্র সমস্যায় আছে।
এর আগে ভিক্টোরিয়া সরকার থেকে তাদের ৪০০ ডলার করে দেয়ার ঘোষণা করা হয়েছিল, গত বৃহস্পতিবার তা বাড়িয়ে দ্বিগুন করা হলো। যারা এর আগে এই পেমেন্টের সুযোগ পেয়েছেন তারাও অতিরিক্ত পেমেন্টের জন্য বিবেচিত হবেন।
ভিক্টোরিয়ান সরকারের একজন মুখপাত্র বলেন, ফেডারেল সরকারের জবসিকার এবং জবকিপার পেমেন্ট পান না এমন ৮,০০০-এরও বেশি অস্থায়ী অভিবাসী এর আগে পেমেন্টের সুযোগ গ্রহণ করেছে যাতে সরকারের ব্যয় হয়েছিল ৩.৩ মিলিয়ন ডলার।
অস্ট্রেলিয়ায় আনুমানিক ১.১ মিলিয়ন অস্থায়ী অভিবাসী আছেন।
গত বৃহস্পতিবার প্রিমিয়ার ড্যানিয়েল এন্ড্রুজ বলেন, ভাইরাস কারো অবস্থান দেখে বিচার করে না, কিন্তু এর কুপ্রভাব আমাদের মধ্যে যারা বিপদে আছেন তাদেরকে খুব খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে-বিশেষ করে যাদের কোন সঞ্চয় নেই বা কাজে যেতে না পেরে তীব্র আর্থিক কষ্টে আছেন। "
যারা এক্সট্রিম হার্ডশীপ সাপোর্ট পেমেন্ট নিতে চান তাদেরকে দেখাতে হবে যে তাদের আয় শূন্য অথবা সীমিত, সঞ্চয় নেই, অথবা কমিউনিটি থেকে কোন সাহায্য পাচ্ছেন না, এবং ফেডারেল সরকারের কাছ থেকে কোন সহায়তা পাচ্ছেন না।
মাইগ্র্যান্ট ওয়ার্কার্স সেন্টারের ডিরেক্টর ম্যাট কুনকেল এই ব্যবস্থাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, "এই পেমেন্টটা ভিক্টোরিয়ার অভিবাসীদের জন্য খুব দরকার ছিল", কিন্তু তিনি ফেডারেল সরকারের প্রতি আগামীকালের বাজেটে সকল কর্মীদের জন্য ন্যাশনাল ওয়েজ সাবসিডি বাড়াতে আহবান জানান।
তিনি বলেন, "এটা এখন ফেডারেল সরকারের পদক্ষেপ নেবার বিষয় এবং তাদের উচিত এই ১.১ মিলিয়ন মানুষদের সহায়তায় এগিয়ে আসা, তারা কভিড ১৯ প্রাদুর্ভাবের প্রভাবে খুব কষ্টে আছে।"
"অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে এখন জরুরী সাহায্য প্রয়োজন। আমাদের কাছে এমন কর্মীরা আসছেন যারা গৃহহীন হয়ে পড়েছে, খাদ্য এবং প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারছে না। "
এসাইলাম সীকার রিসার্চ সেন্টারের চিফ এক্সেকিউটিভ কন কারাপানাজিওটাইডিস একইভাবে এই পেমেন্ট বৃদ্ধির উদ্যোগের প্রশংসা করেন কিন্তু বলে এটা ব্যবস্থা যথেষ্ট নয়।
তিনি এসবিএস নিউজকে বলেন, "কোন অস্ট্রেলিয়ান প্রাদুর্ভাবের এই সময়ে এককালীন ৮০০ ডলারের সাহায্য দিয়ে বাঁচতে পারবে না।"
তিনি বলেন, "এটা একটা ভালো উদ্যোগ, কিন্তু এতে সংকট কাটাতে সাহায্য করবে এমন না, এটি এখন ফেডারেল সরকারের দায়িত্ব।"
"গত বিশ বছরে এসাইলাম সীকার রিসার্চ সেন্টারে কাজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি এমন ব্যাপক মানবেতর অবস্থা আগে কখনো দেখিনি।"
অস্থায়ী এবং কাগজপত্রবিহীন অভিবাসীরা কভিড ১৯-এর কারণে চাকরি হারিয়ে আর্থিক কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন, কেউ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন, এবং অস্ট্রেলিয়াও ছেড়ে যেতে পারছেন না।
ভিক্টোরিয়ান বাসিন্দারা শুধু কাজে যেতে এবং জরুরি স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজে বের হতে পারবে।
সকল ভিক্টোরিয়ানদের সে যে স্থানেই থাকুক না কেন অবশ্যই মাস্ক পড়তে হবে।
অস্ট্রেলিয়ায় প্রত্যেককে একে অপর থেকে ১.৫ মিটার দূরত্বে অবস্থান করতে হবে। আপনার রাজ্যের বিধিনিষেধগুলো দেখুন। আপনি যদি ঠাণ্ডা বা ফ্লুয়ের মত উপসর্গ অনুভব করেন তাহলে চিকিৎসককে ফোন দিন অথবা করোনা ভাইরাস হেলথ ইনফর্মেশন হট লাইন ১৮০০০২০০৮০ এই নাম্বারে ফোন দিন। এ সংক্রান্ত আরও খবর ও তথ্য আপনার ভাষায় জানতে ভিজিট করুনঃ
Please check the relevant guidelines for your state or territory: , , , , , , .
আরও পড়ুনঃ