সাউথ আফ্রিকার উকুতুলু গেইম রিজার্ভ অ্যান্ড কনজার্ভেশন সেন্টারে কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতিতে জন্ম নিয়েছে দু’টি সিংহশাবক। এই সেন্টারটির মালিক উইলি জ্যাকবস, ৬০ ,
“গবেষক ইসাবেলার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে আমরা এই শাবক দু’টির নাম রেখেছি তার নামে এবং তার ফিয়ান্সের নামে। মেয়ে শাবকটির নাম ইসাবেলা এবং ছেলে শাবকটির নাম ভিক্টর।”
কৃত্রিম প্রজননের এই পদ্ধতিটির গুরুত্ব রয়েছে।বলা হচ্ছে, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, তুষার চিতাসহ বিভিন্ন বিপন্ন বিড়াল প্রজাতিকে বিলুপ্তির কবল থেকে রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালন করবে এ পদ্ধতি।বিড়াল প্রজাতির এই কৃত্রিম প্রজনন বিষয়ক গবেষণায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইউনিভার্সিটি অব প্রিটোরিয়ার একদল গবেষক । তারা একটি পুরুষসিংহের স্পার্ম নিয়ে একটি নারী সিংহের ভেতর স্থাপন করেন। প্রায় সাড়ে তিন মাস পর নারী সিংহটি দু’টো শাবক জন্ম দেয়।
Source: Pixabay (Creative Commons)
উইলি জ্যাকবস বলেন,
“সিংহী সাধারণত একটি থেকে চারটি শাবক একসঙ্গে জন্ম দিয়ে থাকে। তাই, দু’টি শাবকের জন্ম দেওয়ার ঘটনাটি স্বাভাবিক।”
এই প্রকল্পের প্রধান গবেষক ড. ইসাবেলা ক্যালাল্টা বলেন,
“পরবর্তী পদক্ষেপ হচ্ছে বিড়াল প্রজাতির বড় প্রাণীগুলো নিয়ে কাজ করা। বিপন্নপ্রায় এ প্রজাতির প্রাণীগুলো রক্ষার ক্ষেত্রে এটি ভাল সংবাদ।”
প্রিটোরিয়া ইউনিভার্সিটির স্তন্যপায়ী প্রাণী গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রফেসর আন্দ্রে গান্সউইন্দ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মানুষের নানা কর্মকাণ্ডের কারণে জৈববৈচিত্র্য আজ হুমকির মুখে। বিগ ক্যাট বা বড় বিড়াল প্রজাতিগুলোও এতে আক্রান্ত হচ্ছে। এদের মধ্যে অনেকে বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে। এদের বিলুপ্ত হওয়া ঠেকাতেই আমাদের এই গবেষণা।
জানা যায়, বিড়াল প্রজাতির প্রাণীদের বিলুপ্ত হওয়ার কবল থেকে রক্ষা বিষয়ক এক গবেষণামূলক প্রজেক্টের প্রাথমিক চেষ্টার ফসল এই সিংহশাবক দু’টি। কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতিটি আফ্রিকান সিংহের ওপর প্রয়োগ করা হলেও বিড়াল প্রজাতির বাকি সদস্যদের ক্ষেত্রেও তা কার্যকর হবে এমনটাই আশা গবেষকদের।