গত মঙ্গলবার হাউস অব কমন্সের নিয়মিত অধিবেশনে তিনি এ প্রশ্ন করেন।
পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ-বিষয়ক নির্ধারিত বিতর্কে উপস্থিত সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী অ্যালান ডানকানের কাছে রূপা হক জানতে চান, "বাংলাদেশে কারাবন্দী এবং নির্যাতনের শিকার আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের মুক্তির জন্য যুক্তরাজ্য সরকার কী করছে?""যাঁর মামলা নিয়ে শ্যারন স্টোন ও ১০ জন নোবেল বিজয়ী কথা বলেছেন। তিনি ওই দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে আটক ৭০০ মানুষের একজন, যে আইনকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে সরকারের সমালোচকদের কণ্ঠরোধের হাতিয়ার। এই আইনে অপরাধের ন্যূনতম সাজা সাত বছরের কারাদণ্ড এবং বিচার বিভাগ নিরপেক্ষ নয়। প্রতিমন্ত্রী কি বন্ধুরাষ্ট্রটিকে এই বার্তা পৌঁছে দেবেন যে, নির্মম এ আইন বাংলাদেশের একসময়কার সক্রিয় সুশীল সমাজকে শেষ করে দিচ্ছে?" বলেন রূপা হক।
Protest against the detention of renowned Bangladeshi photographer Shahidul Alam calling for his immediate and unconditional release in Dhaka, 11 August, 2018. Source: EPA
প্রশ্নোত্তরে প্রতিমন্ত্রী অ্যালান ডানকান বলেন, বাংলাদেশ সফরকালে বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কথা বলেছেন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগের প্রতিমন্ত্রী অ্যালেস্টেয়া রবার্ট। পাশাপাশি ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারও সাধ্যমতো বিষয়টি নিয়ে জোরালো ভূমিকা রাখছেন।
রূপা হক ছাড়াও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আরো দুই এমপি রুশনারা আলী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকও অবিলম্বে শহিদুল আলমের মুক্তি দাবি করেন।
দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলমের গ্রেফতারের খবরে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়।
গত ৫ অগাস্ট ধানমন্ডির বাসা থেকে আটক করা হয় শহিদুল আলমকে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাংলাদেশে সড়ক নিরাপত্তার দাবিতে ছাত্র আন্দোলনে উসকানি দিয়েছেন তিনি।