বাংলাদেশ থেকে অবৈধ ক্যাসিনোর টাকা অস্ট্রেলিয়ায় পাচার

বাংলাদেশে অবৈধভাবে পরিচালিত ক্যাসিনো থেকে অর্জিত টাকা অস্ট্রেলিয়ায় পাচারের অভিযোগ উঠেছে।

Bangladesh - Crime

Police found casino instruments from Mohammedan Sporting Club, Arambagh Krira Sangha, Dilkusha Sporting Club and Victoria Sporting Club on 22 September in Dhaka Source: Sony Ramany/NurPhoto via Getty Images

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সম্প্রতি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে দেশটির আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এই অভিযানের অংশ হিসেবে ঢাকার কয়েকটি অভিজাত ক্লাবে অভিযান চালায় এলিট ফোর্স র‌্যাব। এসব অভিযানে সরকার সমর্থিত রাজনৈতিক দলের একাধিক নেতাসহ শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়, উদ্ধার করা হয় অবৈধ টাকা, মাদকদ্রব্য, অবৈধ অস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ ক্যাসিনো-সরঞ্জাম।

এই অভিযান চলাকালীন এলিট ফোর্স র‌্যাবের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে বলা হয়, ক্যাসিনো থেকে প্রতি মাসে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক এবং ঢাকার মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের ডাইরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেন ভূঁইয়া ২১ লাখ (২.১ মিলিয়ন) টাকা পেতেন। অবৈধভাবে অর্জিত টাকা বাংলাদেশের কয়েকটি ব্যাংকে রাখা হয়েছে এবং একটি বড় অংকের অর্থ অস্ট্রেলিয়ায় পাচার করা হয়েছে বলে দাবি করে র‌্যাব। লোকমান হোসেন ভূঁইয়াকে ঢাকার তেজগাঁও থানায় হস্তান্তর করেছে র‌্যাব। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। র‌্যাব তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে।

এছাড়াও, ঢাকার ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে অভিযান চালায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সেখানে গ্রেপ্তার করা হয় ১৪২ জনকে। ইয়ংমেনস ক্লাবে অভিযানের সময়ে সেই ক্লাবের সভাপতি খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। খালেদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

ওয়ান্ডারার্স ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্র এবং বনানীর গোল্ডেন ঢাকা বাংলাদেশ ক্লাবে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক ও নগদ টাকা জব্দ করে র‌্যাব। এরপর ধানমণ্ডির কলাবাগান ক্লাবে অভিযান চালিয়ে কৃষক লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।
Bangladesh - Crime
Bangladesh - Crime Source: NurPhoto
ক্যাসিনোগুলো পরিচালনায় বিদেশীরা কাজ করতেন বলে তথ্য পাওয়া যায়।

সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলের এক বৈঠকে সহযোগী সংগঠন যুবলীগের নেতাদের নানা কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন। এরপর গণমাধ্যমে যুবলীগ নেতাদের জুয়ার আখড়া বা ক্যাসিনো চালানোর সংবাদ প্রকাশিত হলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ অভিযান শুরু করে।

একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার প্রধান এবং আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার একক সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনায় চলছে এ অভিযান যাকে ক্ষমতাসীনরা ‘শুদ্ধি অভিযান’ বলেও আখ্যায়িত করছেন।

Follow SBS Bangla on .

Share
Published 27 September 2019 4:42pm
Updated 12 August 2022 3:22pm
By Abu Arefin, Sikder Taher Ahmad

Share this with family and friends