অনুসারে, ভিসা-আবেদন প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে আশ্রয়প্রার্থীদের ভিসা প্রতারণার শিকারে পরিণত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তারা বাস্তুচ্যুত হওয়ার পর থেকে নতুন একটি দেশে পৌঁছানোর সময় পর্যন্ত ভিসা-প্রতারকদের প্রতারণার ফাঁদে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
আশ্রয় প্রার্থনার জন্য কীভাবে আবেদন করতে হবে সে সম্পর্ক বেশ কয়েকটি ভাষায় নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। এরপরও আশ্রয়প্রার্থীরা নানাভাবে প্রতারণার ফাঁদে পড়ছে।
ভিসা-প্রতারণা থেকে বাঁচতে হলে কী করতে হবে?
ভিসা-আবেদনকারীকে প্রভাবিত করার জন্য প্রতারকরা নানা রকম কূট-কৌশলের আশ্রয় নিয়ে থাকে।
বড় বড় ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা:
আশ্রয়প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে প্রতারকরা তাদের আস্থা অর্জন করার জন্য বড় বড় কর্মকর্তা যেমন, সংশ্লিষ্ট কোনো অফিসের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা, রাষ্ট্রদূত এবং মন্ত্রীদের নাম উল্লেখ করতে পারে। এভাবে বড় বড় পদাধিকারীর নাম উল্লেখ করে তারা তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং সুনাম বাড়ানোর চেষ্টা করতে পারে এবং ভিসা-আবেদনকারীদেরকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে পারে।
দেখা যায়, এক ব্যক্তি নিজেকে অস্ট্রেলিয়ান এমপি দাবি করে বাস্তুচ্যুত একটি সিরিয়ান পরিবারকে বলে যে, সে সৌদি আরবে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতের বন্ধু। সেই রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে উল্লিখিত ব্যক্তির কোনো সম্পর্ক ছিল কিনা- এসবিএস-এর এ রকম প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর দেয় নি হোম অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট।
বিনামূল্যে বিশেষায়িত সাহায্য প্রদানের প্রস্তাব:
বৈধ মাইগ্রেশন এজেন্টরা সাধারণত তাদের সেবার জন্য ফি গ্রহণ করে থাকেন। প্রয়োজনীয় সকল খরচ এবং এজেন্টের ফিজ সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট সেবা-চুক্তি লিখিত আকারে তৈরি করা হয়ে থাকে। এর বিপরীতে প্রতারকরা সাধারণত বিনা মূল্যে ‘অ্যাসাইলাম অ্যাসিস্ট্যান্স’ দেওয়ার কথা বলে থাকে। এভাবে তারা উভয় পক্ষের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে চায়। এরপর এই প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার জন্য এক পর্যায়ে গিয়ে তারা অর্থ প্রদান করতে বলে।
হঠাৎ এবং জরুরি-ভিত্তিতে অর্থ প্রদানের অনুরোধ:
আবেদনকারীর ভিসা দ্রুত অনুমোদনের জন্য প্রতারকরা অর্থ প্রদান করতে বলে। আশ্রয়প্রার্থীর কাছ থেকে দ্রুত এবং জরুরি-ভিত্তিতে অর্থ প্রদান করতে বলার মাধ্যমে তারা চাপ তৈরি করে। এভাবে তারা ভিসা-আবেদনকারীকে সবকিছু খতিয়ে দেখার জন্য পর্যাপ্ত সময় দেয় না।
প্রতারকরা কখনও কখনও ভিসা-আবেদনের বিভিন্ন নথিপত্রের জন্যও অর্থের দাবি করে থাকে, যেসব নথিপত্র সাধারণত বিনামূল্যেই ডিপার্টমেন্ট অফ ইমিগ্রেশনের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়।
আশ্রয়প্রার্থী আবেদনকারীর ভাষা-জ্ঞানের অভাব থেকে ফায়দা হাসিল করা:
আশ্রয়প্রার্থী আবেদনকারীর ভাষা-জ্ঞানের অভাব থেকে ফায়দা হাসিল করে প্রতারকরা। শরণার্থীরা যে-দেশে আশ্রয় লাভের জন্য আবেদন করছেন তারা সে-দেশের ভাষা ভালভাবে না-ও জানতে পারেন। যেমন, ইংরেজি, জার্মান কিংবা ফরাসী ভাষা। এক্ষেত্রে প্রতারকরা সুযোগ নিতে পারে। তারা তাদেরকে মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য সম্বলিত চিঠিপত্র পাঠাতে পারে, এ রকম ভান করতে পারে যে, এসব চিঠিপত্র তাদের ভিসা-আবেদন প্রক্রিয়াকারী ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকেই পাঠানো হয়েছে।
সরকার-স্বীকৃত অ্যাসাইলাম অ্যান্ড ইমিগ্রেশন এজেন্ট সম্পর্কে জানতে এবং অস্ট্রেলিয়ায় কীভাবে আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে তা জানতে ভিজিট করুন: