সিডনিতে বন্যার স্রোতে মৃত্যুবরণ করেছিলেন পাকিস্তানি তরুণ আইয়াজ, তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের

The parents of Ayaz Younus watch from a car as he is buried at the Riverstone Cemetery at Marsden Park, NSW, Wednesday, May 5, 2021. Pakistani national Ayaz Younus,  died in floodwaters in Glenorie NSW in March. (AAP Image/Steven Saphore) NO ARCHIVING

The parents of Ayaz Younus watch from a car as he is buried on Wednesday. Source: AAP

সিডনির উত্তরে আকস্মিক বন্যার পানিতে ভেসে গিয়ে ২৫ বছর বয়সী তরুণ আইয়াজ ইউনূস কয়েক সপ্তাহ আগে মারা গিয়েছিলেন, পরিবার ও বন্ধুবান্ধবরা তাকে এডভেঞ্চারপ্রিয় ও দয়ালু হিসাবে স্মরণ করেছেন। করোনা মহামারীজনিত কারণে তাঁর জানাজা বিলম্বিত হয়েছিল।


সিডনিতে বন্যার স্রোতে ভেসে গিয়ে মৃত পাকিস্তানি তরুণ আইয়াজকে স্মরণ করলো পরিবার ও বন্ধুবান্ধবরা।

সিডনির মুসলিম সম্প্রদায় আইয়াজকে তার কঠোর পরিশ্রম ও চ্যারিটি কাজের জন্য চিনতো, এমন একজন ব্যক্তিকে হারিয়ে তারা ভীষণ শোকগ্রস্ত।

২৫ বছর বয়সী সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার আইয়াজ ইউনূস মার্চ মাসে নতুন চাকরিতে যাচ্ছিলেন, এ সময় সিডনির উত্তরের উপকণ্ঠে গ্লেনোরিতে তাঁর গাড়ি বন্যার পানিতে ডুবে যায়।
তিনি সাহায্য চেয়েছিলেন বটে, তবে সময় মতো তা আসেনি।

তাঁর হাউজমেট আতা শরীফী এবং ইমরান আহমদ তাদের সদাউচ্ছল বন্ধুটির কথা স্মরণ করেন।

শরীফী বলেন, ও সবার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ ছিলো, ও সবসময় তার মুখের হাসি দিয়ে সকলকে অভ্যর্থনা জানাতো। ও সাহায্য করতো এবং দয়ালু ছিল। ওর জন্য যে বেদনা ও শোক অনুভব করছি তা ভাষায় বর্ণনা করা যাবে না।
Ayaz Younus.
Parents of Ayaaz Younus grieve in silence before the funeral. Source: SBS
অপর বন্ধু আহমদ বলেন, আমি বেশিরভাগ সময় তাঁর সাথে কাটিয়েছি, দিনে প্রায় আট থেকে দশ ঘন্টা, অনেক স্মৃতি আমাদের। এখন এটি খুব কষ্ট দেয়, ভীষণ কষ্ট দেয়।

শেষ বিদায় জানাতে তাঁর বাবা-মাকে পাকিস্তান থেকে আসার বিশেষ অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

তবে তাদের কেবল জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দু'ঘন্টার জন্য কোয়ারেন্টিন থেকে বাইরে আসার অনুমতি দেয়া হয়েছিল।

আইয়াজের বাবা মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, আমি যখন সিডনি বিমানবন্দর থেকে বেরোলাম, তখন আমার চোখ ওকেই খুঁজছিল I

আহমদিয়া মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়ার মির্জা রমজান শরিফ ভিসা আয়োজনে সহায়তা করেছিলেন।
তিনি আশা করেছিলেন যে পুরো পরিবার একসাথে আসতে পারবে, তবে আইয়াজের তিন ভাইবোনকে ভিসা দিতে অস্বীকার করা হয়েছিল এবং তার পরিবর্তে তারা নিজ বাসা থেকে সরাসরি দাফন অনুষ্ঠানটি দেখেন।

শরিফ বলেন, আমরা ইমিগ্রেশন বিভাগের কাছে যথেষ্ট ঋণী, যারা এই কঠিন সময়ে সাহায্য করেছিল, এই কোভিড সময়টিতে ভিসা পাওয়ার জন্য এবং এখানে তার বাবা-মাকে আসতে দেওয়ার জন্য। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষও আমাদের সাথে কাজ করেছে, তাদের খুব কঠোর সেফটি প্ল্যান অনুযায়ী সব কিছু করা হয়েছে।

আইয়াজের কথা এবং তার কমিউনিটির প্রতি ভালোবাসা নিয়েও অনেক কথা শোনা গেছে।

তিনি বন্যার কারণে সৃষ্ট আবর্জনা পরিষ্কারে সহায়তা করার জন্য মসজিদ থেকে একটি দল সংগঠিত করেছিলেন, তবে তিনি তা শেষ করে যেতে পারলেন না।

শরিফ বলেন, তার অনেক পরিকল্পনা ছিলো, প্রাণপ্রাচুর্যে ভরা এমন একটি জীবন আমাদের কাছ থেকে হারিয়ে গেলো।

পুরো প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারে ক্লিক করুন।

 শুনুন প্রতি সোমবার এবং শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় এবং আরও খবরের জন্য আমাদের  ভিজিট করুন। 

আরো দেখুন:




Share