এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বাংলাদেশের কে এম মিজানুর রাহমান। যিনি ২০১৩ সালে বায়োইকোলজি বিষয়ে পিএইচডি করতে রাশিয়ায় আসেন। চাকরি বিজ্ঞপ্তি চোখে পড়ার পর, আবেদন করে বসেন 'ধারাভাষ্য সহকারী' হিসেবে।
"আমি আসলে খুব বেশি উত্তেজিত ছিলাম। বিশ্ব কাঁপানো এমন আয়োজনে নিজেকে জড়িত করার লোভ সামলাতে পারিনি," বলেছেন মিজানুর রাহমান।কাজান শহরকে বলা হয়, 'স্পোর্টস ক্যাপিটাল অফ রাশিয়া'। বিশ্বকাপের একটি কোয়ার্টার ফাইনালসহ মোট ৬টি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে কাজান অ্যারেনা স্টেডিয়ামে। ৪৫ হাজারের বেশি ধারণক্ষমতার এ স্টেডিয়ামের বাইরে রয়েছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এলইডি স্ক্রীন।
KM Mijanur Rahman. Source: Supplied
ব্রাজিল, আর্জেন্টিনাসহ ফেভারিট অনেক দলের খেলাই হয়েছে এই স্টেডিয়ামে।
মাঠে থেকে প্রতিটি খেলা সরাসরি সম্প্রচার করে বিশ্বের বিভিন্ন টেলিভিশন এবং রেডিও চ্যানেল। তাদের সম্প্রচার নিরবিচ্ছিন্ন করতে ফিফার সহযোগী সংস্থা 'হোস্ট ব্রডকাস্টিং সার্ভিসের' হয়ে কাজান অ্যারেনা স্টেডিয়ামে দায়িত্ব পালন করেন মিজানুর রাহমানসহ ১২ জন। তিনিই ছিলেন একমাত্র বাংলাদেশি।"যেখানে অনেকে বিশ্বকাপের একটা ম্যাচ দেখার টিকেটই পায় না, সেখানে ফিফার সরাসরি একজন সদস্য হয়ে ৬টা ম্যাচ দেখার সুযোগ পেয়েছি। এর চেয়ে আনন্দের আর কি হতে পারে," বলেছেন মিজানুর রাহমান।রাশিয়া বিশ্বকাপে 'স্বেচ্ছাসেবক' হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি। কাজান শহরে ছিলেন, নাজমুল হাসান নোমান এবং কবির আহমেদ।
KM Mijanur Rahman with his TV services team. Source: Supplied
FIFA Certificate of Participation. Source: Supplied
নাজমুল স্থানীয় হলেও কবির আসেন মালেয়শিয়া থেকে। স্টেডিয়ামে আগত দর্শকদের তথ্য সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকমূলক নানা কাজে আয়োজকদের সহায়তা করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।এসবিএস বাংলার সাথে মিজানুর রাহমানের পুরো ফোনালাপ শুনতে উপরের অডিও লিঙ্কে ক্লিক করুন।
Bangladeshi expatriate Nazmul Hasan (R) and Kabir (L). Source: Supplied