দলে বিশ্বসেরা খেলোয়াড় মেসি থাকলেও, দ্বিতীয় রাউন্ডে আর্জেন্টিনা খেলতে পারবে কিনা, তা নিয়ে বেশ চিন্তিতই ছিলেন নাজমুল।
ম্যারাডোনার খেলা দেখেই আর্জেন্টিনার প্রতি ভালোলাগা বলে জানালেন তিনি। "দেশে থাকতেও বিশ্বকাপের সময় ছাদে পতাকা উড়াতাম। সে ভালোলাগা থেকেই নিজ বাসায় পতাকা উড়িয়েছি।"
নাজমুলের বন্ধু রাসেল হাসান আবার ব্রাজিলের অকুন্ঠ সমর্থক। "নান্দনিক ফুটবলের দল ব্রাজিল," বলেছেন রাসেল।"ক্রিকেট প্রেমী" জাতি হিসেবে বাংলাদেশীদের বিশ্ব পরিচিতি থাকলেও, ফুটবলের প্রতি প্রেমটা অনেক গভীরের। বিশ্বকাপ উপলক্ষে এই দূর পরবাসেও রাত জেগে, দলভেদে খেলা দেখেন প্রবাসীরা। খেলা উপলক্ষে থাকে খাওয়া- দাওয়ার বিশেষ আয়োজন। অস্ট্রেলিয়ার সবক'টি শহরেই একই অবস্থা।এসবিএস বাংলা পেইজ।
ছেলে রাশদানসহ ব্রাজিলের জার্সি গায়ে রাসেল। Source: SBS Bangla
এক বাসায় জড়ো হয় বিশ্বকাপের খেলা দেখছেন তাসমানিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীরা। Source: SBS Bangla
বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় মূলত ব্রাজিল- আর্জেন্টিনা দলে ভাগ হয়ে যায় পুরো বাংলাদেশ। তা হউক দেশ বা বিদেশ। টেবিল টকের পাশাপাশি মাঠেও চলে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই।অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য শহরের ধারাবাহিকতায় সিডনিতেও অনুষ্ঠিত হল ব্রাজিল- আর্জেন্টিনা প্রীতি ম্যাচ। সিডনির প্যারি পার্ক মাঠে অনুষ্ঠিত দু'টি ম্যাচের একটিতে ব্রাজিল এবং অপরটিতে জয় পায় আর্জেন্টিনা।ব্রাজিল- আর্জেন্টিনার ছাড়াও সকারুসদের পক্ষেও সমর্থন আছে প্রবাসী বাংলাদেশীদের। পেরুর সঙ্গে ২-০ গোলে হেরে বিদায় নেয় অস্ট্রেলিয়া। তবে দলটির লড়াকু ফুটবল বাহবা কুঁড়িয়েছে সবার। প্রত্যাশা ছিল দ্বিতীয় রাউন্ডে যাবে সকারুসরা।শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই থাকলেও সুন্দর ফুটবল দেখতে চান সবাই। ফাইনালে প্রিয় দল জায়গা করে নিতে না পারলেও, একসাথে বসে নান্দনিক ফুটবল দেখার আয়োজন করেছেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
সিডনিতে অনুষ্ঠিত প্রীতি ম্যাচে ব্রাজিল দলের খেলোয়াড়রা। Source: SBS Bangla
প্রীতি ম্যাচে অংশ নেয়া আর্জেন্টিনা দলের খেলোয়াড়রা। Source: SBS Bangla
Source: SBS Bangla