সাধারণত ১ জুলাই থেকে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সরকারকে কর প্রদান করে থাকেন অস্ট্রেলিয়ার করদাতারা। কর পরিশোধের পর, কোনো করদাতা নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি কর পরিশোধ করে থাকলে, ট্যাক্স রিটার্নের মাধ্যমে বাড়তি অর্থ ফেরত দেয় কর বিভাগ। অর্থবছর শেষে অস্ট্রেলিয়ার কর বিভাগ বরাবর আবেদন করলেই তা ফিরিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। আবার ট্যাক্স রিটার্নের নামে করদাতা যদি বেশি অর্থ নিয়ে থাকেন, তবে কর কর্তৃপক্ষ হিসাব দেখিয়ে তা ফিরিয়ে নেয়।
আর ক'দিন পরই শুরু হবে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের কর প্রদান। ঠিক এ সময় কর বিভাগের পরিচয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে প্রতারক চক্র। করদাতাদের অসচেতনতার সুযোগ নিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রটি।
শুধু মাত্র গত অর্থ বছরই ভুয়া ফোন কলের মাধ্যমে প্রায় ২ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকরা। ভুক্তভোগীদের মধ্যে অভিবাসীদের সংখ্যাই বেশি।
প্রতারণার একটা পদ্বতি হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ার কর বিভাগের কর্মকর্তা পরিচয়ে করদাতাকে ফোন দেয়া। ফোনে করদাতাকে অবহিত করা হয় যে, তিনি ট্যাক্স রিটার্নের মাধ্যমে বেশি অর্থ নিয়েছেন। সেই অর্থ শিগগিরই ফেরত না দিলে আদালতে মামলা দায়ের করা হবে। কিভাবে অর্থ ফেরত দিতে হবে সে বিষয়েও জানায় প্রতারক দল; এক্ষেত্রে বেশীর ভাগ সময় করদাতার ক্রেডিট কার্ডের বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়।
অর্থ ফেরৱ দেওয়ার নাম করে মোবাইলে ভুয়া বার্তাও পাঠানো হয়। এমন বার্তায় কর প্রদানকারীকে জানানো হয়, আপনি এ পরিমাণ করের অর্থ ফেরত পেয়েছেন, অর্থ পেতে আপনার ব্যাংক তথ্য দিন। গত মাসেই এ ধরনের প্রচুর ভুয়া বার্তা আসার অভিযোগ জানানো হয়েছে কর বিভাগকে।
এছাড়াও ইমেইলের মাধ্যমেও প্রতারণার শিকার হন অনেক করদাতা। এক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার কর বিভাগের লোগো ব্যবহার করে অনেকটাই নিখুঁত ইমেইল পাঠায় প্রতারক চক্র। লুকানো থাকে তাদের ইমেইল আইডি। অস্ট্রেলিয়ার কর বিভাগের ইমেইল আইডি- তে @ato.gov.au থাকবে, যা প্রতারকদের ইমেইল আইডিতে থাকবে না।
অস্ট্রেলিয়ার কর বিভাগ তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, তারা কখনোই এ ধরনের বার্তা প্রেরণ করে না। এমনকি তাদের কোনো ধরনের বার্তাতেই ব্যক্তিগত তথ্য চাওয়া হয় না। বার্তার মাধ্যমে কোনো লিংকও পাঠানো হয় না বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির কর বিভাগ। প্রতারকাদের প্রতারনার কয়েকটি নমুনা দেয়া আছে অস্ট্রেলিয়ার কর বিভাগের