হাইলাইটস
- ২০২০-২০২১ সালে জিটিআই প্রোগ্রামের অধীনে ১৫,০০০ প্লেস আছে।
- অস্ট্রেলিয়ায় কর্ম-সংস্থানের সুযোগ রয়েছে এবং বার্ষিক ১৫৩,৬০০ ডলার বেতন পাওয়ার নিশ্চয়তা প্রমাণ করতে হবে।
- এটি স্থায়ী অভিবাসন ভিসা।
গ্লোবাল ট্যালেন্ট ভিসা প্রোগ্রাম গ্লোবাল ট্যালেন্ট ইনডিপেন্ডেন্ট প্রোগ্রাম () নামেও পরিচিত। ১ জুলাই ২০১৮ থেকে এই স্কিম চালু করা হয়েছিল। ১২ মাস পরীক্ষামূলকভাবে চালানোর পর এটি স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর পর এর নাম পরিবর্তন করে গ্লোবাল ট্যালেন্ট ইনডিপেন্ডেন্ট প্রোগ্রাম (জিটিআই) রাখা হয় এবং নভেম্বর ২০১৯ থেকে এটি চালু করা হয়। এর আওতায় ইতোমধ্যে ২,৬৮৫ জনকে ইনভাইট করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ইরানের পরে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশীরা পেয়েছেন ৩৮৪ টি ইনভাইটেশন।
গ্লোবাল ট্যালেন্ট ইনডিপেন্ডেন্ট ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশীদের জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন রেজিস্টার্ড মাইগ্রেশন এজেন্ট কাউসার খান। Source: Kawsar Khan
“এই ভিসায় কিন্তু, যেভাবেই হোক, বাংলাদেশীরা অনেক এগিয়ে আছে।”
অন্যান্য ভিসার সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন,
“অন্যান্য ভিসায় কিন্তু ইংরেজি এবং স্কিল অ্যাসেসমেন্ট জরুরী হয়ে পড়ে। কিন্তু, এই ভিসায় ইংরেজি এবং স্কিল অ্যাসেসমেন্টের কথা উল্লেখ নেই। কিন্তু, একটা জিনিস যেটা রয়েছে সেটা হলো, আপনি যে এই দেশে এসে কাজ করতে পারবেন এবং সেটা এক লাখ ৫৩ হাজার ৬০০ ডলারের সম-পরিমাণ বেতন পেতে পারেন, সেটাকে আপনার প্রমাণ করতে হবে।”
এই ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশীদের জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন কাউসার খান। তিনি বলেন,
“আমি বলবো যে, বাংলাদেশীদের জন্য অনেক বড় সুযোগ। কারণ, বাংলাদেশীরা সাধারণত, স্কিলে অনেক ভাল। কিন্তু, ইংলিশ এবং স্কিল অ্যাসেসমেন্ট, পড়াশোনার প্রাসঙ্গিক যোগ্যতা প্রমাণ করা অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে।”
করোনাভাইরাসের এই বৈশ্বিক মহামারীর সময়টিতে কি এর উপরে কোনো প্রভাব পড়বে? এর উত্তরে
কাউসার খান বলেন,
“করোনাভাইরাসের কারণে ভিসার ক্ষেত্রে কিন্তু কোনো প্রভাব পড়ে নি। কারণ হচ্ছে যে, এই ভিসাটা আবেদন করতে কোনো সমস্যা নেই।”
“লেস দেন টু মান্থ কিন্তু ভিসা অ্যাপ্রুভ হয়ে যাচ্ছে, অন্যান্য তথ্য চেয়েও। ফলে এই করোনাভাইরাসের জন্য ভিসা ঠেকে থাকছে না। আর যেই মাত্র এই ভিসা পাচ্ছেন, পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট ভিসা পাচ্ছেন।”
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এখানে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তা সাধারণ তথ্য এবং কোনো সুনির্দিষ্ট পরামর্শ নয়। কেউ যদি আরও প্রাসঙ্গিক এবং সুনির্দিষ্ট তথ্য পেতে চান, তাহলে একজন রেজিস্টার্ড মাইগ্রেশন এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন কিংবা আরো তথ্যের জন্য ভিজিট করুন:
কাউসার খানের সাক্ষাৎকারটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।