গ্যাম্বলিং রিসার্চ সেন্টারের একজিকিউটিভ ডিরেক্টর ড. রেবেকা জেনকিনসন মনে করেন, অস্ট্রেলিয়ানদের এই গ্যাম্বলিং প্রবণতার পেছনে বেটিং বিষয়ক বিজ্ঞাপনগুলি অনেক ভূমিকা রাখছে।
অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল ও বিভিন্ন স্টেট-সরকার গ্যাম্বলিং কমানোর জন্যে সচেষ্ট হয়েছে। গত কয়েকবছর ধরেই কয়েকটি কার্যকরী উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে এ বিষয়ে।
নিউ সাউথ ওয়েলস সরকার সম্প্রতি রাজ্যের সব ক্লাব ও পাবে বেটিং-সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন প্রচারে নিষেধাজ্ঞা এনেছে।
ফেডারেল সরকারও এ বছরের অগাস্ট মাস থেকে নতুন একটি অ্যাপ চালু করতে যাচ্ছে, যেটির নাম বেটস্টপ। অনলাইন জুয়াড়িরা এই অ্যাপের সাহায্যে নিজেদের অনলাইন বেটিং থেকে নিরস্ত করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, জুয়াড়িদের শতকরা পঞ্চাশ ভাগের মধ্যেই মানসিক ও স্বাস্থ্যগত সমস্যা এবং এর ফলে নিজের বা অন্যের ক্ষতি করার প্রবণতা থাকে। এ ছাড়াও, নিজের আর্থিক পরিস্থিতির ওপরে নিয়ন্ত্রণ না থাকার ফলে বড় অংকের ঋণগ্রস্ত হওয়ার ঘটনাও জুয়াড়িদের মধ্যে অনেক বেশি দেখা যায়।
ওয়েস্টার্ন সিডনি লোকাল হেলথ ডিস্ট্রিকে কর্মরত সাইকোজেরিয়াট্রিক অ্যাডভান্সড ট্রেইনি ড. তারান্নুম রহমান ওশিন মনে করেন, গ্যাম্বলিং এর প্রবণতা কমাতে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকা ও সমাজে সচেতনতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।
ড. তারান্নুম রহমান ওশিনের সম্পূর্ণ সাক্ষাৎকারটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারে ক্লিক করুন।
আপনার বা পরিচিত কারও এ বিষয়ে সাহায্যের প্রয়োজন হলে কল করুন:
অথবা ভিজিট করুন: www.gamblinghelponline.org.au