যারা বুশফায়ার নেভাতে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছেন তাদেরকে কমপক্ষে ২০ কর্মদিবসের কিংবা ২৮ পঞ্জিকা-দিবসের সবেতন ছুটি প্রদানের জন্য সমস্ত কমনওয়েলথ পাবলিক সার্ভিস লিডারকে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।
এসব ছুটির ব্যয়ভার বহন করবে এজেন্সিগুলো। এসবের জন্য অতিরিক্ত কোনো নেট খরচও হবে না।
মিস্টার মরিসন বলেন, কমনওয়েলথ পাবলিক সার্ভিস কর্মীদের ক্ষেত্রে আনীত এই পরিবর্তন অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্স ফোর্সের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
স্বেচ্ছাসেবী অগ্নি-নির্বাপকর ক্ষতিপূরণ পাবেন কিনা তা নিয়ে বিতর্ক চলছে। অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন স্থানে বুশফায়ার নিয়ন্ত্রণে আনতে সংগ্রাম করছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। এদের বেশিরভাগই কমনওয়েলথ পাবলিক সার্ভিস ডিপার্টমেন্টগুলোতে কাজ করেন না।
New South Wales Volunteer Fire Fighters Association এর প্রেসিডেন্ট Mick Holton বলেন, তাদের কোনো কোনো সদস্য আগুন নেভাতে যাওয়ার ক্ষেত্রে পেট্রোল কিনতে গিয়ে প্রচুর অর্থ খরচ করেন।
তিনি আরও বলেন, তার সদস্যরা স্মোক মাস্কের জন্য অর্থায়ন করছে।
Mick Holton নাইন নেটওয়ার্ককে বলেন, তার কোনো কোনো ভলান্টিয়ারকে নিয়ে তিনি চিন্তিত।
ভলান্টিয়ার ফায়ার ফাইটারদেরকে এককালীন অর্থ প্রদান, স্পেশাল পেইড লিভ এনটাইটলমেন্ট এবং ট্যাক্স ব্রেক প্রদানের জন্য জন্য আহ্বান জানান লেবার দলের নেতা অ্যান্থোনি অ্যালবানিজ।
তিনি বলেন, কোনো কোনো স্বেচ্ছাসেবীর মাসের পর মাস কোনো প্রকার উপার্জন নেই। কারণ, তারা আগুন নেভাতে কাজ করছেন।
ফেডারাল সরকার একমত হয়ে বলেছে, স্বেচ্ছাসেবীদের মূল্যবোধের বিপরীতে গিয়ে অর্থ প্রদান করা হবে।
নিউ সাউথ ওয়েলস রুরাল ফায়ার সার্ভিস বলেছে, এ রাজ্যে বুশফায়ার নিয়ন্ত্রণে কর্মরত শতকরা ৯০ ভাগ লোক স্থানীয় এবং নিজেদের কমিউনিটিকে রক্ষা করতে গিয়ে তারা বিনা-পয়সায় কাজ করছে।
ভলান্টিয়ার মডেল বিভিন্ন স্টেট এবং টেরিটোরিতে দেখা যায়। ঐতিহাসিকভাবেই এটি অনেক কার্যকর।
কিন্তু, এ বছরের ফায়ার সিজনে জলবায়ুর পরিবর্তনসহ বেশ কিছু কারণে অনেক বেশি স্থানে আগেভাগেই আগুন লেগেছে।
প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।