মাইলসের হামিন আহমেদ বলেন, “বাংলা গান শুনে আপনি দিন শুরু করুন”

Miles.jpg

মাইলস ব্যান্ডটি গঠিত হয় ১৯৭৯ সালে। অস্ট্রেলিয়াতে এটি তাদের ৪র্থ সফর। বঙ্গবন্ধু কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়ার বৈশাখী মেলা উপলক্ষে গত ১৮ জুন ২০২৩, রবিবার তারা সিডনির ফেয়ারফিল্ড শো গ্রাউন্ডে কনসার্ট করেন। Source: SBS / Sikder Taher Ahmad

বঙ্গবন্ধু কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়ার বৈশাখী মেলা উপলক্ষে সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া সফরে এসেছিল বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান এবং অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যান্ডদল মাইলস। মেলায় কনসার্টের আগে এসবিএস বাংলার সঙ্গে কথা বলেন মাইলসের কয়েকজন ব্যান্ড-সঙ্গীত তারকা।


মাইলস ব্যান্ডটি গঠিত হয় ১৯৭৯ সালে। অস্ট্রেলিয়াতে এটি তাদের ৪র্থ সফর। বঙ্গবন্ধু কাউন্সিলের বৈশাখী মেলা উপলক্ষে গত ১৮ জুন ২০২৩, রবিবার তারা সিডনির ফেয়ারফিল্ড শো গ্রাউন্ডে কনসার্ট করেন।

কনসার্টের আগে মাইলসের কয়েকজন সদস্য কথা বলেন এসবিএস বাংলার সঙ্গে।

ভোকাল হামিন আহমেদের জন্ম উপমহাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত পরিবারে। বাবা প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ কমল দাশগুপ্ত, মা কিংবদন্তী সঙ্গীত শিল্পী ফিরোজা বেগম। তবে, এগুলোই সব নয়, বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ও অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যান্ডদল মাইলসের অন্যতম সদস্য হিসেবে এবং বাংলাদেশ মিউজিকাল ব্যান্ডস অ্যাসোসিয়েশন সংক্ষেপে বামবা-র সভাপতি হিসেবে হামিন আহমেদ সুপরিচিত।
কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীর আগে ওয়ার্ল্ড টুরের অংশ হিসেবে মাইলস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়া-সহ ২৮টি দেশে শো করেছিল, বলেন হামিন। কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীর পর তারা এখন অস্ট্রেলিয়ায় এসেছেন এবং এরপরে আমেরিকায় যাবেন।

বাংলাদেশের ব্যান্ডের গান পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এবং বিশ্বের নানা প্রান্তে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে পাইওনিয়ার বা অগ্রপথিকের কাজ করেছে এবং করছে মাইলস, বলেন তিনি।

তার মতে, “বাংলা ব্যান্ডগুলো বাংলা গানকে প্রত্যেকটি মহাদেশে নিয়ে যাচ্ছে। এখানে পাইওনিয়ার হচ্ছে মাইলস।”

“বাংলা গানকে সামনে নেওয়ার জন্য আপাতত বাংলা ব্যান্ডগুলোর কোনো বিকল্প নেই।”

হামিন আরও বলেন, “বাংলা গান শুনে আপনি দিন শুরু করুন, দেখবেন যে, দিনটি ডিফরেন্ট হবে।”
মাইলসের কিবোর্ডিস্ট ও ভোকাল মানাম আহমেদের বাবা প্রখ্যাত সুরকার মনসুর আহমেদ। মাইলসের গানের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তিনি বলেন,

“আমরা সুরে খুব একটা চাকচিক্য আনার চেষ্টা করি নি; আমরা বাংলা গানটাকে বাংলার মতোই রেখেছি। বাট, সাথে আনুষঙ্গিক যে আমাদের ওয়েস্টার্ন যে এক্সপিরিয়েন্সটা ছিল বা আইডিয়াগুলো ছিল, সেগুলোকে ব্লেন্ড করে আমরা নতুন কিছু তৈরি করেছি।”

এ সম্পর্কে মাইলসের আরেক সদস্য ইকবাল আসিফ জুয়েল বলেন,

“মাইলসের কম্পোজিশনে, আমি বলবো যে, সুরের প্রাধান্য অবশ্যই ছিল। বাংলা গানের যে সুরটা, ওটাকেই হয়তো আমরা প্রাধান্য দিয়েছি। কিন্তু, তার সঙ্গে যেটা হয়েছে, আমাদের প্রত্যেকেরই পার্সোনাল ওয়েস্টার্ন মিউজিকের ট্রেইনিং বা লিসেনিং যে হ্যাবিটটা ছিল, সেটাও মিউজিকে যে ফিউশনটা হয়েছে, যার জন্য মাইলসের মিউজিকটা একটু ওয়েস্টার্ন মিউজিক হলেও মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যাচ্ছে। কারণ হচ্ছে, সুরগুলো প্রত্যেকটি হচ্ছে বাংলা সঙ্গীতের সঙ্গেই ওতপ্রোতভাবে জড়িত।”
এর সঙ্গে হামিন আহমেদ এ সম্পর্কে আরও যোগ করেন যে, “আমরা যে কম্প্রোমাইজটা কখনও করি না, সাধারণত করি না, জেনারেলি প্রায় নাইন্টি পার্সেন্ট সময়েই আমরা করি না, সেটা হচ্ছে যে, গানটা যে রূপটা নিচ্ছে এটা যদি আমার কাছে ভাল না লাগে, আমাদের যদি একটু মনে কোনো হেজিটেশন থাকে, তখন আমরা ঐটা নিয়ে কাজ করতেই থাকি বা ওটাকে বাদ দিয়ে দিই। খুব রেয়ার যে, একটা গান করেছি, নট স্যাটিসফায়েড, দিয়ে দিলাম।”

মাইলসের সদস্যদের সাক্ষাৎকার শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

Share