ইউনিভার্সিটি অফ কুইন্সল্যান্ডের স্কুল অফ হেলথ এন্ড রেহাবিলিটেশন সায়েন্স- এর এসোসিয়েট প্রফেসর ডঃ আসাদ খান গবেষণা করছেন epidemiology of physical activity, sedentary behaviour, psychosocial wellbeing এবং এই বিষয়গুলোর আন্তঃসম্পর্ক নিয়ে। তিনি অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত অভিবাসীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য সুবিধা প্রাপ্তিতে অসমতা দূর করার বিষয় নিয়েও কাজ করছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এসোসিয়েট প্রফেসর মিঃ খান বাংলাদেশের শিশু ও তরুণ সমাজের স্বাস্থ্য বিষয়ে গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান দা অ্যাক্টিভ হেলথি কিডস বাংলাদেশ বা AHKBD-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।এসবিএস বাংলাকে ডঃ আসাদ খান বলেন, 'আমরা যদি ফিজিক্যাল একটিভিটি (শারীরিক শ্রম) বাড়াই এবং সেডেন্টারি বিহেভিয়ার (দীর্ঘক্ষণ নিষ্ক্রিয় হয়ে এক জায়গায় বসে থাকা) কমিয়ে দেই তবে এর নানাবিধ স্বাস্থ্য সুবিধা আছে। এসব বিষয়ের সাথে করোনারি হার্ট ডিজিজ, ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য রিস্ক ফ্যাক্টর যেমন ওবেসিটি (স্থূলতা) বা অতিরিক্ত ওজনেরও সম্পর্ক আছে। শুধু তাই নয় এটি সামাজিক, মনোদৈহিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলে।'
Assoc Prof Dr. Asad Khan, The University of Queensland Source: Dr. Asad Khan
তিনি বলেন, 'শারীরিক পরিশ্রমকে এখন বলা হচ্ছে প্রিভেন্টিভ মেডিসিন। কিন্তু এতো কিছুর পরেও আমরা দেখছি অস্ট্রেলিয়ান প্রাপ্ত বয়স্করা যথেষ্ট শারীরিক পরিশ্রম করছে না, শিশুদের ক্ষেত্রে তিনজনের মধ্যে দুজনই নিষ্ক্রিয়, বাংলাদেশিদের বেলাতেও একই চিত্র।'
ডঃ খান বলেন, দীর্ঘক্ষণ নিষ্ক্রিয় থাকা বা বসে থাকার সুদূরপ্রসারী জনস্বাস্থ্যগত প্রভাব আছে।
তিনি বলেন, স্ক্রীনে (কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট বা মোবাইল ফোন) অতিরিক্ত সময় দেয়ার কারণে গত এক দশকে আমাদের ঘুমের প্যাটার্ন পরিবর্তন হয়ে গেছে।
'বিশেষ করে স্ক্রীন বাচ্চাদের ঘুমের সময়টুকু নিয়ে নিচ্ছে। এতে বাচ্চাদের সামাজিক-মানসিক অবস্থার ওপর প্রভাব পড়ছে, তাদের মনোযোগ কমে যাচ্ছে, পড়াশোনায় ভালো করতে পারছে না, এবং অন্যান্য অর্জনগুলোতে প্রভাব ফেলছে। '
ডঃ আসাদ খানের আরেকটি গবেষণার ক্ষেত্র হচ্ছে ইন্ডিজিনাস এবং অভিবাসীদের স্বাস্থ্য।
তিনি বলেন, 'ইন্ডিজিনাস কমুনিটির স্বাস্থ্যসুবিধার চিত্রটি নিয়ে কাজ হলেও অভিবাসীদের বিশেষ করে যারা মধ্য ও নিম্ন আয়ের দেশ থেকে এসেছেন তাদের স্বাস্থ্যসুবিধা নিয়ে তেমন কোন ডাটা আমাদের কাছে নেই।'
সরকারের কাছে এ বিষয়ে প্রস্তাব দিতে এটাই বাধা বলে মনে করেন মিঃ খান।
তিনি বলেন, 'আমরা চেষ্টা করছি অভিবাসীদের স্বাস্থ্যের বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে, এর বাস্তব চিত্রটি সরকারের কাছে পেশ করে আমরা ডায়ালগটি শুরু করতে পারব।'
ডঃ আসাদ খানের পুরো সাক্ষাতকারটি শুনতে ওপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন
আরও দেখুনঃ