মে মাসে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) আফ্রিকা পরিচালক Matshidiso Moeti মিডিয়াতে বলেছিলেন যে আফ্রিকার সরকারগুলি ২০০০ সালে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ঐতিহ্যবাহী থেরাপি সহ অন্যান্য ওষুধের ক্লিনিকাল ট্রায়াল করা হবে।
এ ঘোষণার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, তারা সনাতনী চিকিৎসা পদ্ধতিতে উদ্ভাবিত যে কোনো কিছুকে মেনে নেবে , কিন্তু কোনো অপরীক্ষিত চিকিৎসা ব্যবস্থা নয়। তিনি আরো বলেন "আমি প্রয়োজন বুঝতে পারি, তবে আমরা এই বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়াটিকে উত্সাহিত করতে চাই যেখানে সরকারগুলি নিজেরাই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিল।
মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রি রাজোয়েলিনা একটি ভেষজ টনিকের কথা বলে বিশ্বময় আলোড়ন তুলেন । এই টনিকটি মাদাগাস্কার সহ আফ্রিকার অন্যান্য দেশে ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু টনিকটি করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ফল পাওয়া যাবে , এমন কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ এখন পর্যন্ত উপস্থাপন করা হয়নি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা ভেষজ ওষুধের তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পাশাপাশি একটি চার্টারের অনুমোদন দিয়েছেন । এবং একটি তথ্য ও নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণে বোর্ড গঠন করার কথা বলা হয়।
যে কোনো একটি নতুন ওষুধের নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা নির্ভর করে সফলভাবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় ধাপ সম্পন্ন করার পর। এ ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে আফ্রিকা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এবং প্রিভেনশন অ্যান্ড দ্য আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশন ফর সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স একযোগে কাজ করবে।প্রচলিত কোনো ওষুধ যদি নিরাপদ, কার্যকর ও মানসম্পন্ন বলে প্রমাণিত হয়, তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তা দ্রুত তৈরির পরামর্শ দেবে এবং স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক উৎপাদন করার জন্য বলবে।
ইবোলা বা করোনার মতো মহামারি এ অঞ্চলে স্বাস্থ্যব্যবস্থা শক্তিশালী করার ও উন্নয়ন কর্মসূচি ত্বরান্বিত করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে , একই সঙ্গে সনাতনী ওষুধ নিয়ে গবেষণার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টিও উঠে এসেছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আফ্রিকা অঞ্চলের পরিচালক মাতিশিদো মোতি বলেছেন, অন্য ওষুধের যেভাবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করতে হয়, তেমনি সনাতনী পদ্ধতিতেও কমপক্ষে দুই হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষা চালাতে হবে।
মাদাগাস্কারের পানীয় কোভিড-অর্গানিক্সের , যাকে সিভিও (CVO) বলা হয়, করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ফল পাওয়া যাবে এ বিষয়ে তেমন জোর দিয়ে কিছু উল্লেখ করেননি প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রি রাজোয়েলিনা।তবে এটি মাদাগাস্কারে ব্যাপকভাবে বিতরণ করা হয়েছে এবং আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে বিক্রি হয়েছে।আর্টেমিসিয়া থেকে তৈরি ওষুধ ম্যালেরিয়া চিকিৎসায় কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।