অস্ট্রেলিয়ান নীতিমালা সংস্থা চায়না ম্যাটারস-এর একটি শিক্ষা সফরে এই ডিসেম্বর মাসে লেবার এমপি ম্যাট কিওহ এর সঙ্গে বেইজিং যাওয়ার কথা ছিল অ্যান্ড্রু হেইস্টি এবং জেমস প্যাটারসনের।
কিন্তু, এখন লিবারাল পার্টির এই দু’জন রাজনীতিবিদকে চীনে প্রবেশে বাধা প্রদান করা হয়েছে। আর, শিক্ষা সফরটিও স্থগিত করা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ায় চীনের হস্তক্ষেপের অভিযোগ, হংকংয়ের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলমানদের নির্যাতনের যে অভিযোগ রয়েছে, সেগুলো নিয়ে সোচ্চার ছিলেন মিস্টার হেইস্টি এবং সিনেটর প্যাটারসন।
এক বিবৃতিতে তারা দু’জন বলেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টি সম্পর্কে খোলামেলা কথা বলার খেসারত হিসেবে এই সিদ্ধান্ত এসেছে।
সিনেটর প্যাটারসন বলেন, তিনি হতাশ।
ফেডারাল সংসদের সিকিউরিটি অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স কমিটির চেয়ারম্যান মিস্টার হেইস্টি গত আগস্ট মাসে চীনের উত্থানকে নাৎসি জার্মানির সঙ্গে তুলনা করে একটি ওপিনিয়ন আর্টিকেল লিখেন।
তার মন্তব্যের নিন্দা করে চীন। তারা বলে, এসব কথা চীন-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর।
চায়না ম্যাটারস-এর সিইও অ্যালিস্টেয়ার নিকোলাস বলেন, এ দু’জন রাজনীতিবিদকে চীনে প্রবেশে বাধা দিয়ে চীন কোনো বার্তা দিতে চাচ্ছে বলে তিনি মনে করেন না।
গণমাধ্যমে এ বিষয়টি নিয়ে মাতামাতি করা হচ্ছে।
সিনেটর প্যাটারসনও গণমাধ্যমের ভূমিকার সমালোচনা করেন। তবে, এর জন্যই চীন এ রকম সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করেন না তিনি।
ন্যাশনালস এমপি ড্যারেন চেস্টার তার কোয়ালিশনের সহকর্মীদের সম্পর্কে এবিসি-কে বলেন, মন্ত্রীদের মতামত খোলাখুলিভাবে প্রকাশ করতে পারার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।
এই শিক্ষা সফরে ম্যাট কিওহ-এর অংশগ্রহণ নিয়ে চীনা কর্তৃপক্ষ কোনো আপত্তি করে নি।
এক বিবৃতিতে মিস্টার কিওহ বলেন, যা ঘটেছে তার জন্য তিনি হতাশ।
প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।