গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো
- বিদেশে অনিশ্চিত অবস্থায় থাকা প্রায় ৭,০০০ হিউম্যানিটারিয়ান ভিসাধারী রয়েছে, যারা অস্ট্রেলিয়ার কোভিড ১৯ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়েছে
- অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখার জন্য ১৮২৬টি আবেদন করা হয়েছে, তবে এর মধ্যে ১২৫১টি আবেদনই অস্ট্রেলিয়ান কর্তৃপক্ষ নাকচ করেছে - যার বেশিরভাগই মধ্যপ্রাচ্যের।
- শরণার্থী অধিকার কর্মীরা বলছেন অস্ট্রেলিয়ান সরকারের উচিত এই ভিসাধারীদের অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের অনুমোদন দেয়া
শরণার্থী অধিকার কর্মীরা বলছেন এটি তাদের 'ক্যাচ ২২' পরিস্থিতিতে (উভয়-সঙ্কটে) ফেলেছে - তারা নিজ দেশেও ঝুঁকিতে আছে আবার অস্ট্রেলিয়ায় নিরাপদে থাকার জন্য ফ্লাইটও বুক করতে পারছে না।
এখন অধিকারকর্মীরা, ইউএনএইচসিআর এবং শরণার্থী পরিবারগুলো বলছে অস্ট্রেলিয়ান সরকারের উচিত এই ভিসাধারীদের অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের অনুমোদন দেয়া।
যখন আই-এস ২০১৪ সালে ইরাকি সিটি কারাকোশে প্রবেশ করে তখন মুখলেস হাবাস ও তার পরিবার জীবন নিয়ে পালায় এবং অস্ট্রেলিয়ায় নিরাপত্তা পায়।
এখন এই শরণার্থী তার পরিবার ও পরিচিত ইরাকি খ্রিস্টানদের হিউম্যানিটারিয়ান ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় আনতে সংগ্রাম করে যাচ্ছে।
মিঃ হাবাসের পরিবার বিদেশে অনিশ্চিত অবস্থায় থাকা প্রায় ৭,০০০ হিউম্যানিটারিয়ান ভিসাধারীদের অন্যতম, যারা অস্ট্রেলিয়ার কোভিড-১৯ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়েছে।অস্ট্রেলিয়ার বাইরে থাকা ১৮২৬টি আবেদনে অনুরোধ করা হয়েছে যাতে তাদের অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখার অনুমতি দেয়া হয়। তবে এর মধ্যে ১২৫১টি আবেদন অস্ট্রেলিয়ান কর্তৃপক্ষ নাকচ করেছে - যার বেশিরভাগই মধ্যপ্রাচ্যের।
Nearly 7,000 of those refugees with humanitarian visas are currently stranded offshore. (Representational image). Source: Getty Images/Martin Trabalik/EyeEm
জর্ডান থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখার ৫১২টি আবেদন করা হয়েছে, কিন্তু অনুমোদন পেয়েছে মাত্র ৩৬টি।
১৯৩টি আবেদন পড়েছে লেবানন থেকে, তবে মাত্র ১৭টি অনুমোদিত হয়েছে।
১৫৬টি আবেদন এসেছে ইরাক থেকে এবং ১৮টি অনুমোদন পেয়েছে।শরণার্থী অধিকার কর্মীরা বলেন, এতো বেশি সংখ্যক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখার আবেদন নাকচ হওয়ায় ভবিষ্যতে তাদের জীবন বিপন্ন হতে পারে।
A displaced Syrian girl sits outside her family's tent at a refugee camp in Bar Elias, Bekaa Valley, Lebanon, Friday, March 5, 2021. Source: AP Photo/Hussein Malla
ড. লুইস অলিফ রেফিউজি কাউন্সিল অফ অস্ট্রেলিয়ার সিনিয়র পলিসি এডভাইজার।
তিনি বলেন, তারা যতদিন অনিশ্চিত অবস্থায় থাকবে ততদিন ঝুঁকির মধ্যে থাকবে।
রেফিউজি কাউন্সিল এবং ইউনাইটেড ন্যাশন্স হাই কমিশন ফর রেফিউজিস অস্ট্রেলিয়ান সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে, যাতে হিউমানিটারিয়ান ভিসাধারীদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয় যাতে তারা নিরাপদে বের হয়ে আসতে পারে।
এদিকে এক বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়ান বর্ডার ফোর্স বলেছে নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখার আবেদন নাকচ করার বিষয়টি হালকাভাবে নেয়া হয় নি, এবং প্রতিটি কেইস সিনিয়র কর্মকর্তারা মানবিক দিক থেকে সতর্কতার সাথে বিবেচনা করেছে।
এদিকে, মি. হাবাস এবং তার তরুণ পুত্র প্রত্যাশা করছে তারা শীঘ্রই কোন একদিন তাদের পরিবারকে দেখতে পাবে।
পুরো প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলার রেডিও অনুষ্ঠান শুনুন প্রতি সোমবার এবং শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় এবং আরও খবরের জন্য আমাদের ফেইসবুক পেইজটি ভিজিট করুন।
আরও দেখুন: