১৩ মে, বৃহস্পতিবার সংসদে খুব দ্রুতই পাশ হয়েছে মাইগ্রেশন অ্যামেন্ডমেন্ট বিলটি। তবে, আইন বিশেষজ্ঞগণ আশঙ্কা করছেন যে, শরণার্থীদের ওপরে এর দীর্ঘ-মেয়াদী প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে।
ডিটেনশনে থাকা অনাগরিকদের ভিসা বাতিল করার ক্ষমতা এর আগে থেকেই ছিল সরকারের।
নিরাপত্তা, অপরাধমূলক কার্যকলাপের জন্য সাজা পাওয়া, কিংবা সন্দেহভাজন দুষ্কৃতিকারীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকার কারণে সরকার তাদের ভিসা বাতিল করতে পারে।
তবে, আইনগুলোতে নতুন করে আনা সংশোধনী অনুসারে ভিসা বাতিল হওয়া সে-সব ব্যক্তিদেরকে ডিপোর্ট বা বহিষ্কার করা থেকে বাধা দেওয়া হবে, যদি তারা জুলুম-নিপীড়নের শিকার হয়।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মানবাধিকার আইনজীবি ডেভিড বার্ক।
এই সংশোধনীগুলোর পক্ষে মত দিয়েছেন ইমিগ্রেশন মিনিস্টার অ্যালেক্স হাক।
তার একজন মুখপাত্র এসবিএস নিউজকে বলেন, এসব পরিবর্তনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে যে, বন্দি ব্যক্তিদেরকে “অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক সুরক্ষা-বিষয়ক বাধ্যবাধকতার শর্তগুলো ভঙ্গ করে অপসারণ করা” হচ্ছে না।
এই আইনগুলো সরকারকে কোনো ব্যক্তির শরণার্থী মর্যাদা বাতিল করার ক্ষমতা অর্পণ করে।
২৭টি লিগ্যাল গ্রুপ ও আইনজীবিগণ এক বিবৃতিতে বলেন, এসব আইনী সংশোধনের ফলে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারবে না।
এর আগে, গত বছর সেপ্টেম্বরে সরকারের বিরুদ্ধে একটি ফেডারাল কোর্ট কেসে দেখা যায় যে, তারা বে-আইনীভাবে একজন সিরিয়ান শরণার্থীকে আটকে রেখেছে।
আদালত মত দেয় যে, তারা সেই ব্যক্তিকে অস্ট্রেলিয়া থেকে বহিষ্কার করার ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার ইমিগ্রেশন সিস্টেমে কিছু সংখ্যক বন্দি ব্যক্তি কত দিন অতিবাহিত করবেন সে বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে এর মাধ্যমে।
বড় বড় দলগুলো এসব সংশোধনী সমর্থন করায়, গ্রিনস দলের সিনেটর নিক ম্যাককিম গত সপ্তাহে সংসদে এ নিয়ে তাদের সমালোচনা করেন।
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।