মূল বিষয়:
- যে কোনো ব্যবসা একক, কোম্পানি বা অংশীদারিত্ব হিসাবে পরিচালিত হতে পারে।
- আয় ৭০ হাজার টাকা না হওয়া পর্যন্ত জিএসটির জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হবে না।
- অস্ট্রেলিয়া সম্ভাব্য উদ্যোক্তাদের বিভিন্নভাবে অর্থ সহায়তা দিয়ে থাকে, যেমন অনুদান, ঋণ এবং ব্যক্তিগত বিনিয়োগ।
অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী অর্থনীতি এবং ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ উদ্যোক্তাদের জন্য একটি অনুকূল পটভূমি তৈরি করে দেয়।
এদেশে একটি ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হতে পারে, বিশেষ করে যদি কারো মাথায় চমৎকার কোনো আইডিয়া আসে, অথবা কোনো কিছুর প্রতি বিশেষ আগ্রহ থাকে, তাহলে সেটিকে একটি লাভজনক উদ্যোগে রূপান্তরিত করা যেতে পারে।
তিনি বলেন,
অস্ট্রেলিয়ায় ব্যবসা পরিচালনা করার অনেক রকম সুবিধা রয়েছে।
সিডনি ভিত্তিক অর্থনীতি বিশ্লেষক আবদাল্লা আবদাল্লাহ জোর দিয়ে বলেন যে অস্ট্রেলিয়ার একটি গর্ব করার মত স্থিতিশীল অর্থনীতি রয়েছে।
আর তাই এটি বিনিয়োগকারী এবং উদ্যোক্তা উভয়ের জন্য একইভাবে একটি ভিত্তিপ্রস্তর হিসাবে কাজ করে।
মি. আবদাল্লাহ আরও বলেন যে অস্ট্রেলিয়ার আইনি কাঠামো ব্যবসায়ীদের জন্য খুবই কার্যকরী।
Economics Analyst Abdallah Abdallah
এখানকার ব্যবসা এককভাবে, অথবা কোম্পানি বা সংস্থা, অথবা পার্টনারশিপ বা অংশীদারিত্ব হিসাবে পরিচালিত হতে পারে। আর প্রতিটি ক্ষেত্রেই এগুলির স্বতন্ত্র দায়িত্ব এবং আইনি বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে হয়।
মি. আবদাল্লাহ বলেন,
ব্যবসার উদেশ্যের উপর নির্ভর করে সেই ব্যবসা কীভাবে পরিচালনা করা হবে সেটি।
ব্যবসার কাঠামোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে, সেটিকে অবশ্যই নিবন্ধন করতে হবে এবং স্থানীয় আইন ও বিধি-নিষেধ মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।
মিজ কনেল বলেছেন,
নিবন্ধনের প্রক্রিয়া খুব জটিল কিছু নয় এবং এ সংক্রান্ত অনেক তথ্যই খুব সহজে পাওয়া যায়।
আর সোল ট্রেডার বা একক ব্যবসায়ী হিসাবে নিবন্ধন করতে এবং বা এবিএন পাওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রয়োজনীয় বেশিরভাগ তথ্য প্রতিটি স্টেটের সরকারী ওয়েবসাইটে সহজেই পাওয়া যায়।
If you need financial support to start your business, Australia offers many outlets that you can reach out to. Credit: SolStock/Getty Images
মি. আবদাল্লাহ আরও বলেন, আর যদি কেউ তার কোম্পানিতে কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা করে থাকেন, সেক্ষেত্রে অবশ্যই তাকে পে-অ্যাজ-ইউ-গো উইথহোল্ডিংয়ের জন্যেও নিবন্ধন করতে হবে।
তিনি সেই সাথে দরকারি সব আইন-কানুন ও বিধি-নিষেধ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা অর্জন করার গুরুত্বের উপর জোর দেন, সম্ভাব্য ঝামেলা এড়াতে যা সব উদ্যোক্তারই জানা উচিত।
মিজ কনেল ব্যাখ্যা করে বলেন,
ব্যবসার বীমা থাকা নিশ্চিত করাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।
Business can be operated as a sole trader, company, or partnership. Credit: Superb Images/Getty Images
মিজ কনেল বলেন, সম্ভাব্য ক্রেতা এবং বাজার নিয়ে গবেষণা করা এক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ।
ব্যবসা শুরু করার জন্য যদি কারও আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন হয়, তবে অস্ট্রেলিয়ায় তার জন্যে অনেক রকমের উপায় রয়েছে।
সম্ভাব্য উদ্যোক্তাদের জন্য অনুদান, ঋণ এবং ব্যক্তিগত বিনিয়োগসহ বিভিন্ন অর্থায়নের উপায় রয়েছে বলে জানান মিজ কনেল।
মিজ কনেল আরও উল্লেখ করেন যে অস্ট্রেলিয়া সরকারের ওয়েবসাইট তে গিয়ে অনুদান সন্ধানকারী ট্যাবের অধীনে খুঁজলে সেখানে অসংখ্য তালিকাভুক্ত অনুদান-কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়।
এই সরকারী অনুদানগুলি বিভিন্ন সেক্টরের অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠায় সহায়তা এবং অন্যান্য সুযোগ -সুবিধা সরবরাহ করে থাকে।
এসব বিষয়ে আরও তথ্যের জন্য প্রয়োজন হলে স্টেট ডিপার্টমেন্টে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, ব্যবসা শুরুর সময় থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠা লাভ পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে সম্ভাব্য উদ্যোক্তাদের দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে।
Nadine Connell - Director of Smart Business Plans Australia
মিজ কনেল বলেন, উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন থাকলে তার জন্যে কাজ শুরু করে দেওয়াটা জরুরি। যত দ্রুত সম্ভব ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে গবেষণা, নেটওয়ার্কিং এবং পরিকল্পনা শুরু করে দেয়া উচিত।
মনে রাখা দরকার যে প্রতিটি সফল ব্যবসাই একটি ক্ষুদ্র পদক্ষেপ দিয়ে শুরু হয়।
সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।