সম্প্রতি বাংলাদেশ ভ্রমণে সতর্কবার্তা হ্রাস করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। এখন থেকে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকেরা কোনো রকম বাধা-নিষেধ ছাড়া বাংলাদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে, রাজনৈতিক সহিংসতা ও অপহরণের হুমকির কারণে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা পুনর্বিবেচনার জন্য অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকদেরকে পরামর্শ দিয়েছে ডিপার্টমেন্ট অফ ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড (ডিফ্যাট)।
এ বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মান্যবর মোহাম্মদ সুফিউর রহমান। এ সম্পর্কে তিনি এসবিএস বাংলাকে বলেন,
“যদি নিরাপত্তা-বিষয়ক কনফিডেন্স কম থাকে তাহলে বিনিয়োগের সুযোগ সীমিত হয়ে পড়ে।”
২০১৭ সাল যখন বাংলাদেশের ওপরে এ ধরনের ট্রাভেল অ্যাডভাইজ দেওয়া হয়, রি-কনসিডার ইয়োর নিড টু ট্রাভেল, এটা সারা বাংলাদেশের উপর বলবৎ ছিল। ঢাকায় হলি আর্টিজান বেকারিতে আক্রমণের পর এ পরামর্শ দেওয়া হয়। গত তিন বছর ধরে বাংলাদেশ হাই কমিশন অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে কাজ করছে।
তিনি বলেন,
“তাদেরকে আমরা আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছি যে, বাংলাদেশের নিরাপত্তার অবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে।”
“আমাদেরকে যেখানে রাখা হয়েছিল Reconsider your need to travel to Bangladesh, তো ওতে বাংলাদেশের অনেক ধরনের সমস্যা হচ্ছিল।”
“গত কিছু দিনে আমরা এনগেজমেন্টের মধ্যে ছিলাম। আমরা অস্ট্রেলিয়ান কর্তৃপক্ষদের সাথে কাজ করছিলাম, প্রায় দু’বছর ধরে। এবং আমরা খুশি, দেরিতে হলেও এটা রিভিউ হয়েছে এবং বিশেষত ডিপার্টমেন্ট অফ ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেডকে আমরা এ বিষয়ে ধন্যবাদ জানাতে চাই।”সম্প্রতি সিডনিতে তিন দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ ট্রেড কনফারেন্স। এর অর্জন সম্পর্কে মান্যবর সুফিউর রহমান বলেন, এর অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল,
H. E. Mr Mohammad Sufiur Rahman, High Commissioner for the People’s Republic of Bangladesh to Australia, New Zealand and Fiji. Source: SBS Bangla
“বাংলাদেশের ব্রান্ড ভ্যালু অস্ট্রেলিয়ায় কীভাবে বাড়ানো যায় (তা নিয়ে কাজ করা)।”
“যদি ব্রান্ড ভ্যালু না বাড়ে তাহলে কিন্তু সেক্টরাল কোলাবোরেশন, ব্যবসা-বাণিজ্য ... এটা কিন্তু সহজে গতিময়তা সৃষ্টি করা কঠিন হয়ে পড়ে।”
“বাংলাদেশের ব্রান্ড ভ্যালূ অনেক কারণেই অস্ট্রেলিয়াতে খুব একটা ভাল নেই, ছিল না।”
“বাংলাদেশের ভ্যালূ বাড়ানোর যে বিষয়টা সেটাকে সামনে রেখে এর পরবর্তীতে কীভাবে এটাকে ইকনোমিক ডাইমেনশনগুলো এক্সপ্লোর করা যায়, সেটা নিয়ে আমরা কাজ করার চেষ্টা করি।”
তিনি বলেন, এই সম্মেলনে, “আমরা একটি নতুন বাংলাদেশের ন্যারেটিভ উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি।”
“আমাদের ইমেজ বাড়ানোর ক্ষেত্রে এটি একটি বড় ভূমিকা রাখবে।”
মান্যবর মোহাম্মদ সুফিউর রহমানের সাক্ষাৎকারটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।