স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নয়নে টেলিহেলথে স্থায়ীভাবে রিবেট প্রদানের আহ্বান জানালো জিপিরা

Woman with a cold or flu or allergy working at home

Woman with a cold or flu or allergy working at home. She is holding a mobile phone and is also using a laptop computer. Source: iStockphoto

সর্বশেষ মেডিকেয়ার বেনিফিটস শিডিউলে ৪০ মিনিটেরও বেশি সময়ের ভিডিও কনসালটেশনের সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে, দীর্ঘক্ষণ ধরে অনুষ্ঠিত টেলিফোন কনাসালটেশন এক্ষেত্রে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাই, ডাক্তাররা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন, এই সিদ্ধান্ত পাল্টানোর জন্য। কারণ, তাদের মতে, এর ফলে রুরাল অস্ট্রেলিয়ার অসহায় রোগীরা ঝুঁকির মুখে পড়বেন।


১ জুলাই ২০২২ থেকে কার্যকর হওয়া সর্বশেষ জিপি মেডিকেয়ার বেনিফিটস শিডিউল থেকে ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা টেলিহেলথ ফোন কনসালটেশনের ক্ষেত্রে রিবেট বাদ দেওয়া হয়েছে।

তবে, ২০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে চলা ভিডিও কনসালটেশনের ক্ষেত্রে রিবেট প্রদান করা অব্যাহত রাখা হচ্ছে। এতে শুধুমাত্র চিকিৎসকরাই কিংকর্তব্যবিমূঢ় নন, বরং রুরাল ও রিজিওনাল অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বহু অস্ট্রেলিয়ানও সংশয়ে পড়েছেন।
ডিজিটাল ট্রানজিশন করা সবার পক্ষে সম্ভব নয়। চিকিৎসক এবং সমর্থকরা সরকারের প্রতি আবেদন জানাচ্ছেন, অস্ট্রেলিয়ার হেলথকেয়ার সিস্টেম থেকে যেন সে-সব ব্যক্তিদেরকে বাদ দেওয়া না হয়।

রয়্যাল অস্ট্রেলিয়ান কলেজ অফ জেনারেল প্র্যাকটিশনার্স এর প্রফেসর ক্যারেন প্রাইস বলেন, ফোন কনসালটেশনের ক্ষেত্রে রিবেট কাট করার কোনো যৌক্তিকতা নেই।

ইলেক্ট্রনিক্স কোম্পানি ফিলিপস-এর একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, রুরাল এবং রিমোট এলাকাগুলোতে বসবাসরত অস্ট্রেলিয়ানদের ৪০ শতাংশের ইন্টারনেট স্পিড সেকেন্ডে ২৮ কিলোবিটস এরও কম।

ভিডিও কলের জন্য রিকমেন্ডেড সর্বনিম্ন স্পিড হলো ৬০০ কিলোবিটস পার সেকেন্ড।

প্রফেসর প্রাইস বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল লেবার পার্টি, তাদের উচিত সেই প্রতিশ্রুতির প্রতি একনিষ্ঠ থাকা।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারীর এই প্রেক্ষাপটে, বহু অস্ট্রেলিয়ানের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ নেই। তাই, এই সিদ্ধান্তটি “কোনো অর্থ বহন করে না”।

রিজিওনাল ওয়েস্টার্ন ভিক্টোরিয়ায় বসবাস করেন রে কিংসটন। তিনি বলেন, তিনি সৌভাগ্যবান। কারণ, বেশিরভাগ সময়ে তিনি ইন্টানেট ব্যবহার করতে পারেন। তবে তিনি জানেন যে, এ রকম বহু লোক রয়েছে যাদের ব্যাক-আপ হিসেবে টেলিফোনের দরকার হয়।

তিনি বলেন, যারা ফোন সার্ভিসের ওপরে নির্ভর করতে পারেন না, তাদেরকে কোনো রকমে জোড়াতালি দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে।

পুরো প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: 

আমাদেরকে অনুসরণ করুন 

Share