গত ২২ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল কেবিনেট মিটিংয়ের পর প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বেশ কিছু পরিবর্তন আনার ঘোষণা দেন।
ভারত থেকে আগত ফ্লাইটগুলোর ৩০ শতাংশ হ্রাস করা হবে বলে তিনি জানান। কারণ, সেখানে আজকাল কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বেশ নাজুক আকার ধারণ করেছে।
এর পাশাপাশি, অন্যান্য যে-সব দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ব্যাপক রূপ নিয়েছে, সেসব দেশ থেকে আসা ফ্লাইটগুলোর সংখ্যাও কমানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মিস্টার মরিসন বলেন, এসব পরিবর্তন আনা সত্ত্বেও বিদেশে আটকে পড়া অস্ট্রেলিয়ানদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার চেষ্টা-প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।
ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার প্রিমিয়ার মার্ক ম্যাকগাওয়ান বলেন, পার্থে হোটেল কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় ফেরত-যাত্রীরা কীভাবে সংক্রমিত হলেন, সেটা খতিয়ে দেখছে কর্তৃপক্ষ।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
উচ্চ-ঝুঁকি-সম্পন্ন দেশগুলো থেকে আসা ফ্লাইট-সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার হোটেলগুলো দীর্ঘ-মেয়াদী কোয়ারেন্টিন-সেবার জন্য তৈরি করা হয় নি।
এদিকে, ডিপার্টমেন্ট অফ হেলথ সেক্রেটারি ব্রেন্ডান মার্ফি নিশ্চিত করেছেন যে, ৫০ বছরের বেশি বয়সীরা মে মাসে অ্যাস্ট্রা জেনেকা ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবেন। মিস্টার মার্ফি আরও নিশ্চিত করেন যে, এই পর্যায়ে ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য ফাইজার ভ্যাকসিন রাখা হবে না। তবে, এর ব্যতিক্রম হিসেবে সুযোগ পাবেন বয়স্ক-সেবা-কেন্দ্রগুলোর বাসিন্দারা এবং কতিপয় উচ্চ-ঝুঁকি-সম্পন্ন গোষ্ঠী, যেমন, সেবা-কেন্দ্রগুলোতে থাকা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা।
নিউ সাউথ ওয়েলস প্রিমিয়ার গ্লাডিস বেরেজিক্লিয়ান বলেন, নিউ সাউথ ওয়েলস সরকার জিপিদেরকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা চালিয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, ফাইজার ভ্যাকসিন প্রদানের সময়ে চাপ কমানোর ক্ষেত্রে স্টেট ও টেরিটোরি সরকারগুলোর দায়িত্ব রয়েছে।
ফাইজার ভ্যাকসিন প্রদানের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সহায়তার প্রতি জোর দেন তিনি। কারণ, এটি অত্যন্ত শীতল অবস্থায় সংরক্ষণ করতে হয়। এদিকে, জিপিরা অ্যাস্ট্রা জেনেকা ভ্যাকসিনের মাধ্যমে টিকাদান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
মিজ বেরেজিক্লিয়ান বলেন, জিপি ক্লিনিকগুলোর মাধ্যমে পুরোদমে টিকাদান করার বিষয়টি রাজ্যের টিকাদান কর্মসূচি ত্বরাম্বিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, ফাইজার ও অ্যাস্ট্রা জেনেকা, কোভিড-১৯ এর এই উভয় ভ্যাকসিন নিরাপদে প্রদানের ক্ষেত্রে সিডনির হোমবুশ গণ-টিকাদান হাব বা কেন্দ্র সক্ষম হবে।
সিডনির একটি কোয়ারেন্টিন হোটেলে কোভিড-১৯ ভাইরাসের সাউথ আফ্রিকান স্ট্রেইনে আক্রান্ত ভ্রমণ-ফেরত তিন ব্যক্তি ছিলেন। নিউ সাউথ ওয়েলস কর্তৃপক্ষ এখন জরুরি ভিত্তিতে আরও চার ব্যক্তির সন্ধান করছে, যাদের এতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
গত ২১ এপ্রিল, বুধবার রাতে নিউ সাউথ ওয়েলস হেলথ বলেছে, আক্রান্ত তিন ব্যক্তির মাঝে দু’জন একই পরিবারের সদস্য। এ মাসের শুরুর দিকে তারা সিডনির ম্যাকিউয়ার হোটেলের দশ তলায় দুটি সংযুক্ত কামরায় ছিলেন। আর, তৃতীয় ব্যক্তি ছিলেন তাদের পাশের কামরায়।
নিউ সাউথ ওয়েলসের চিফ হেলথ অফিসার কেরি চ্যান্ট বৃহস্পতিবার বলেন, হোটেলের সেই ফ্লোরে থাকা ৪০ জন ভ্রমণ-ফেরত ব্যক্তির এবং অজানা-সংখ্যক কর্মীর এই ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কর্তৃপক্ষ এদের ৩৬ জনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছে। আর, বাকি চার জনের খোঁজ করছে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীতে স্বাস্থ্য ও অন্যান্য সহায়তা লাভের জন্য আপনার ভাষায় তথ্য পেতে ভিজিট করুন
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।