নারী বিশ্বকাপ ফুটবলের এখনও দু’বছরেরও বেশি সময় বাকি আছে। তবে, এর প্রস্তুতি-পর্ব চলছে। এই প্রথমবারের মতো এটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দু’টি ভিন্ন ভিন্ন কনফেডারেশনের যৌথ আয়োজনে।
আর, এই প্রথমবারের মতো নারী বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে দল সংখ্যা ২৪ থেকে বাড়িয়ে ৩২ করা হচ্ছে।
আয়োজক দেশগুলোর যেসব স্থানে খেলা অনুষ্ঠিত হবে, সেসব অঞ্চলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডেও গতিশীলতা আসবে। বর্তমান পরিস্থিতির বিচারে যার খুবই প্রয়োজন আছে বলে অনুভূত হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ায় হোস্ট সিটিগুলোর মাঝে রয়েছে ব্রিসবেন, সিডনি, মেলবোর্ন, অ্যাডিলেইড এবং পার্থ। আর, নিউ জিল্যান্ডের হোস্ট সিটিগুলো হলো, অকল্যান্ড, হ্যামিল্টন, ওয়েলিংটন এবং ডানেডিন।
এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে অকল্যান্ডে। তবে, ডানেডিন-এর মতো শহরের জন্য হোস্ট নির্বাচিত হওয়াটা অনেক বড় বিষয়।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
ডানেডিন-এর মেয়র অ্যারোন হকিন্স বলেন, বিশ্বের এই আসরে সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এটি এ শহরটির জন্য অনেক বড় একটি সুযোগ।
পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ্বে এই টুর্নামেন্টটি হবে অন্যতম বৃহৎ একটি খেলাধুলার আসর।
ফুটবল অস্ট্রেলিয়ার চিফ একজিকিউটিভ জেমস জনসন বলেন, ২০ আগস্ট যখন সিডনির অলিম্পিক স্টেডিয়ামে এর ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে, তখন বিশ্বের এক বৃহৎ সংখ্যক দর্শক এটি উপভোগ করবেন।
ভেন্যু হিসেবে নির্বাচিত হয় নি টাসম্যানিয়ার লানসেস্টন, নিউ সাউথ ওয়েলসের নিউক্যাসল এবং নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ।
এদিকে, ফিফার শর্টলিস্টে অ্যাডিলেইড গ্রাউন্ড তালিকাভুক্ত হওয়ার পর, সাউথ অস্ট্রেলিয়া রাজ্য সরকার হাইন্ডমার্শ স্টেডিয়াম সংস্কারের জন্য ৪৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে যাচ্ছে।
এই বিনিয়োগের সরাসরি সুফল পাবে এ-লিগ ক্লাব অ্যাডিলেইড ইউনাইটেড। ক্লাবটির ডাইরেক্টর অফ ফুটবল ব্রুস জিটেহ এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
আর, ফুটবল অস্ট্রেলিয়ার মতে, এই টুর্নামেন্টটির ইতিহাস সৃষ্টির সুযোগ রয়েছে। ফুটবল অস্ট্রেলিয়ার চিফ একজিকিউটিভ জেমস জনসন বলেন, সবাইকে সাথে নিয়ে তারা নারী বিশ্বকাপের সর্বোত্তম একটি আসর উপহার দিতে পারবেন।
পাঁচ সপ্তাহের এই টুর্নামেন্টটি নিউ জিল্যান্ডের অকল্যান্ডে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে শুরু হবে।
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।