আব্দুল্লাহ আলিখিল বলেন, তার হোম কান্ট্রি আফগানিস্তানে যুদ্ধের ভয়াল থাবা গণমাধ্যমের উপরও পড়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় গণমাধ্যমের ভবিষ্যত নিয়ে, বিশেষত গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে বিতর্ক হতে দেখে তিনি বিস্মিত।
এসবিএস পশতুর একজিকিউটিভ প্রডিউসার আব্দুল্লাহ আলিখিল বলেন, অবাধে কথা বলার বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কোনো একটি দেশের জন্য সরকার, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং জনগণের মাঝে আস্থা বজায় রাখার জন্য এটি জরুরী।
মিস্টার আলিখিল বলেন, প্রেস ফ্রিডম হুমকির সম্মুখিন হলে তার জন্য গণতন্ত্রেরও ক্ষতি হতে পারে। আফগানিস্তানে সাংবাদিকতা করার সময়ে প্রায় প্রতিদিনই তিনি ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতেন।
অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর কোয়ালিশনে এসবিএস-ও রয়েছে। এই কোয়ালিশন প্রেস ফ্রিডম নিয়ে কাজ করছে। এ নিয়ে তাদের প্রচার অভিযানের নাম 'Australia's Right to Know.'
ইউনিভার্সিটি অফ মেলবোর্নের সেন্টার ফর অ্যাডভান্সিং জার্নালিজম-এর ড. ডেনিস মুলার বলেন, প্রেস ফ্রিডমের অভাবে গণতন্ত্র ঝুঁকিপূর্ণ হয়।
'Australia's Right to know' ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে পরিচালিত নতুন একটি গবেষণায় দেখা গেছে, সমীক্ষায় অংশ নেওয়া সহস্রাধিক ব্যক্তির মধ্যে শতকরা ৮৭ ভাগ লোক গণতান্ত্রিক স্বচ্ছতার বিষয়টির মূল্যায়ন করেন। কিন্তু, ৩৭ শতাংশ ব্যক্তি মনে করেন, তারা একটি মুক্ত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বসবাস করেন এবং এতে জনগণকে জানানো হয়।
প্রেস ফ্রিডম এনকোয়ারিকে কতিপয় সাংবাদিক প্রমাণ সরবরাহ করেছেন। তারা অস্ট্রেলিয়ায় মিডিয়া ফ্রিডম অ্যাক্ট চালু করার জন্য চাপ দিচ্ছেন।
গত সপ্তাহে প্রেস ফ্রিডম শুনানিতে ড. মুলারও হাজির হয়েছিলেন। তিনি গণমাধ্যমের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত।
ক্লাসিফায়েড ইনফরমেশন নিয়ে পাবলিক রিপোর্টিং করার বিষয়ে এই এনকোয়ারি আরও তদন্ত করছে। এ বছর এ জন্য অস্ট্রেলিয়ান ফেডারাল পুলিস একজন সাংবাদিকের বাড়িতে ও গণমাধ্যম কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছিল।
নিউজ কর্পের একজন সাংবাদিকের বাড়িতে এবং এবিসি-এর সিডনি-কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানের বিষয়টি গণতন্ত্রকে বিপন্ন করতে পারতো বলে সমালোচকরা মনে করছেন।
Walkley-award বিজয়ী সাংবাদিক Adele Ferguson একজন হুইসেল ব্লোয়ার বা গোপন সংবাদদাতার সহায়তা নেন এবং অসদাচরণ ও অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ করে দেন। তিনি বলেন, হুইসেল ব্লোয়াররা যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় এখানে কম নিরাপদ।
সিডনি মর্নিং হেরাল্ড এবং দি এজ-এ লিখে থাকেন মিজ ফার্গুসন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে হুইসেল ব্লোয়ারদেরকে পুরস্কৃত করা হয়। আর অস্ট্রেলিয়ান হুইসেল ব্লোয়াররাও বড় পার্থক্য তৈরি করে দেন।
সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৮৮ শতাংশ ব্যক্তি মনে করেন, যারা বিভিন্ন অনিয়মের কথা প্রকাশ করে দেন তারা সমাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।