চার বছর আগে সোলার বা সৌর-বিদ্যুতের সংযোগ নিয়েছেন টম ম্যাকলিস্টন। তিনি বলেন, যখন থেকে তিনি নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করা শুরু করেছেন, তখন থেকে তার ত্রৈমাসিক বিল কয়েক শ’ ডলার কমে গিয়ে প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে।
নবায়নযোগ্য শক্তির বিভিন্ন সুবিধা সম্পর্কে তিনি বলেন,
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
অস্ট্রেলিয়ান এনার্জি মার্কেট কমিশনের (AEMC) একটি রিপোর্ট অনুসারে, আরও বহু অস্ট্রেলিয়ান তাদের এনার্জি বিল সাশ্রয় করতে যাচ্ছে।
বাড়ি-ঘরে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার এবং ভোক্তাদের অধিক হারে সোলার প্যানেলে বিনিয়োগ করার কারণে আগামী তিন বছরে এনার্জি বিল ২০১৭ সালের পর থেকে সবচেয়ে কম হতে যাচ্ছে।
আজকের তুলনায় ২০২৪ সালে পরিবারগুলো গড়ে ৬ শতাংশ কিংবা ৭৭ ডলার করে কম বিল প্রদান করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
AEMC-এর চেয়ার আনা কোলিয়ার বলেন, নতুন নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসগুলো হবে বায়ু, সৌর, ব্যাটারি এবং গ্যাসের মিশ্র রূপ।
২০২৪ সাল নাগাদ সবচেয়ে বেশি খরচ সাশ্রয় হবে সাউথ-ইস্ট কুইন্সল্যান্ডে। আশা করা হচ্ছে যে, সেখানে ১০ শতাংশ বা ১২৬ ডলার খরচ সাশ্রয় হবে। আর ট্যাসমানিয়াতে খরচ কমবে ১২৪ ডলার।
আশা করা হচ্ছে, ভিক্টোরিয়াতে খরচ কমবে ৯৯ ডলার, নিউ সাউথ ওয়েলসের পরিবারগুলোতে ৫০ ডলার এবং সাউথ অস্ট্রেলিয়ায় ৩৫ ডলার।
এসিটি একমাত্র এলাকা যেখানে এনার্জি বিল ৭৭ ডলার করে বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মিজ কোলিকার বলেন, বিভিন্ন কারণে এই সাশ্রয়ের পরিমাণের মাঝে ভিন্নতা দেখা দিবে।
ক্লাইমেট কাউন্সিল বলছে, এনার্জি প্রাইস হ্রাস পাওয়ার বিষয়টি শুধুমাত্র ভোক্তাদের জন্যই কল্যাণকর নয়, পরিবেশের ওপরেও এর ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে।
ক্লাইমেট কাউন্সিলের জ্যেষ্ঠ গবেষক টিম বাক্সটার বলেন, ব্যবহারযোগ্য শক্তির মান ও বৃদ্ধি সম্পর্কে কেউই ধারণা করতে পারে নি।
তিনি বলেন, দেশ জুড়ে নবায়নযোগ্য শক্তি ও জ্বালানির ব্যবহার অনেক সম্ভাবনাময়। ভবিষ্যতে ক্লিন এনার্জির ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য এখনও বহু দূর পথ যেতে হবে।
তবে, শক্তি ও জ্বালানি খরচ কমার আগে একটুখানি বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, আগামী বছর নিউ সাউথ ওয়েলসের লিডেল পাওয়ার স্টেশন বন্ধ করা হলে গ্রিড বা বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থায় সরবরাহ কমে যাবে।
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত।