বক্স হিল সাবার্ব সাধারণত লোকজনে গম গম করতো। কিন্তু, করোনাভাইরাসের প্রাদূর্ভাবের পর সেখানকার দোকানপাটে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছে সাধারণ মানুষ। ফলে মার খাচ্ছে সেখানকার স্থানীয় ব্যবসাগুলো।
স্টিভ জেনের রেস্টুরন্টের ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, ৬০ শতাংশ আয় কমে গেছে।
তিনি বলেন, এ রকম ব্যবসায়িক মন্দা এর আগে কখনও তিনি দেখেন নি।
তিনি তার কয়েকজন ক্যাজুয়াল স্টাফকে কাজে আসতে নিষেধ করতে বাধ্য হয়েছেন। কারণ, তিনি তাদেরকে কাজ দেওয়ার সামর্থ্য আর রাখছেন না।
বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে একটি দোকান চালান রিচার্ড শি। চায়নিজ নিউ ইয়ার সেলিব্রেশন্স-এর সময়ে সাধারণত তার ভাল বিক্রি হয়। এখন তিনি লোকসান দিচ্ছেন।
শুধু তারাই নন, বহু ব্যবসা হয় সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে নতুবা এখন কম সময়ের জন্য খোলা থাকছে।
আর তারা বলছে, ভয় এবং ভুল তথ্যের কারণে ভোক্তারা অহেতুক দূরে সরে রয়েছে।
লেবার শ্যাডো মিনিস্টার ফর মাল্টিকালচারাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড্রিউ গাইলস বলেন, বিদ্যমান ভয়-ভীতি দূর করতে বহু কিছু করতে হবে।
স্থানীয় ফেডারাল মেম্বার গ্লাডিস লিউ বক্স হিল-এর মতো যে-সব এলাকায় চীনা লোক বেশি বসবাস করে সেসব এলাকা পরিদর্শন করছেন। তিনি বলেন, কমিউনিটিকে আশ্বস্ত করার জন্য তারা যা যা করতে পারেন সেসব করছেন।
ভিক্টোরিয়ার চিফ হেলথ অফিসার ড. ব্রেট সাটন স্বীকার করেন যে, এই ভাইরাসটি সম্পর্কে প্রচারিত ভুল তথ্যগুলোর মোকাবেলা করা আসলেই কঠিন। তিনি বলেন, জনগণের অহেতুক ভয় পাওয়া উচিত নয়।
স্টিভ জেন এবং রিচার্ড শি-র মতো ব্যবসা-মালিকরা আশাবাদী যে, ভোক্তা ও ক্রেতারা দেরিতে নয় বরং অচিরেই ফিরে আসবেন।
প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।