নিউ সাউথ ওয়েলস হেলথ ডিপার্টমেন্ট ঘোষণা করেছে যে তারা করোনা ভাইরাসের দুটি পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্স তৈরী করতে পেরেছে। ওয়েস্টমিড হসপিটালের বিচ্ছিন্ন থাকা রোগীদের ওপর নিরীক্ষা করে তারা এই সফলতা পান।
এখনো পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় ১৫ জন নিশ্চিত করোনা ভাইরাসের রোগী পাওয়া গেছে, যাদের মধ্যে চারজনই নিউ সাউথ ওয়েলসের; বাকিরা ভিক্টোরিয়া, কুইন্সল্যান্ড, এবং সাউথ অস্ট্রেলিয়ার। নিউ সাউথ ওয়েলসের চারজনের তিনজন হাসপাতাল ছেড়েছেন।
নিউ সাউথ ওয়েলসের হেলথ মিনিস্টার ব্র্যাড হাজার্ড বলেন, তাদের ডাক্তাররা রোগীদের ওপর ব্যাপক পরীক্ষা করে 'গবেষণায় প্রভূত সাফল্য' পেয়েছেন।
তিনি বলেন, গবেষকরা ভাইরাসগুলোকে বিচ্ছিন্ন করে আট রকমের উপাদানের ওপর গবেষণা করেছেন এবং দুটি পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্স তৈরী করেছেন।
এই ফলাফলগুলো ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনকে দেয়া হবে যাতে তারা একটি ভ্যাকসিন তৈরী করতে পারে।
মিঃ হাজার্ড বলেন, "ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের জন্য এই গবেষণার ফলাফল ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে বেশ কাজে আসবে, বিশেষ করে ভাইরাস হিসেবে এটি খুবই নতুন।"
নিউ সাউথ ওয়েলসের হেলথ প্যাথলজি প্রফেসর ডমিনিক ডওয়ের বলেন, গবেষণা ভালোভাবে হয়েছে বলে তারা নিশ্চিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, "সারা বিশ্বে কিভাবে ভাইরাসের প্রকৃতি পরিবর্তন হচ্ছে এবং বিশ্বের অন্যান্য ভাইরাসের সাথে এর কি মিল আছে, এটা বোঝার ক্ষেত্রে আমরা অবদান রাখতে পারি। এবং আমরা আমাদের জেনেটিক সিকোয়েন্স WHO -এর সাইটে প্রকাশ করেছি যাতে তারা তুলনা করতে পারে।"
"তাছাড়া আমাদের যেহেতু একটি আলাদা ল্যাবরেটরি আছে, আমরা নিউ সাউথ ওয়েলস এবং অন্যান্য জায়গার ল্যাবরেটরিগুলোকেও সঠিক ধরণের পরীক্ষা করার জন্যও সাহায্য করি; এবং আমরা ভ্যাকসিন উৎপাদকদেরও কার্যত সাহায্য করতে পারি।"
চীনের করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের তদন্তে সাহায্য করতে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞের দল বেজিংয়ে গেছে।
WHO -এর কানাডীয় অভিজ্ঞ এপিডেমিওলোজিস্ট এবং ইমার্জেন্সি বিশেষজ্ঞ ডঃ ব্রুস আইলওয়ার্ড মিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
এদিকে চীন করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির আরেকটি রিপোর্ট দিয়েছে যেখানে নতুন করে আরো সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে বলে জানা গেছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে এখনো পর্যন্ত ৯০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে সংক্রমণের সংখ্যা এখন ৪০,১৭১ জনে দাঁড়িয়েছে।
চীনের বাইরে এই সংখ্যা ৩৬০টি।
আরো পড়ুন: