বাংলাদেশী শিক্ষার্থী আরিফা জাহান ইমা অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটিতে এম ফিল করছেন যা 'মাস্টার্স বাই রিসার্চ' নামেও পরিচিত। তিনি অস্ট্রেলিয়ান সরকারের অস্ট্রেলিয়া আওয়ার্ডসের আওতায় স্কলারশিপ পেয়ে এই কোর্সটি করছেন। এটি অস্ট্রেলিয়া সরকারের একটি প্রকল্প যার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষ নেতৃত্ত্ব তৈরী করা।
আরিফা বাংলাদেশের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অকুপেশনাল থেরাপিতে ব্যাচেলর করেছিলেন, যেটি পরিচালিত হয় সিআরপি নামক এনজিও দ্বারা। প্রতিষ্ঠানটি পক্ষাঘাতগ্রস্তদের জন্য কাজ করে থাকে। তার কাজের অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার ওপর ভিত্তি করে তিনি অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস বৃত্তি লাভ করেন বলে তিনি জানান।
বর্তমানে তিনি স্পাইনাল কর্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের ওপর একটি গবেষণা করছেন এবং এই গবেষণার ফলাফল এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি বাংলাদেশে নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে কাজ করতে চান।পড়াশোনার জন্য মেলবোর্নকে বেছে নেয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বাংলাদেশে পড়াশোনার সময় শিক্ষকদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান শিক্ষকরাও ছিলেন, তাদের দ্বারা তিনি উৎসাহিত হয়েছেন, তাছাড়া অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া তার জন্য বেশ উপযোগী। একই সাথে অস্ট্রেলিয়ার উচ্চশিক্ষার মানও যথেষ্ট ভালো।
Bangladeshi Student Arifa Jahan Ema Source: Supplied
আরিফা জানান মেলবোর্নে পড়তে এসে তেমন কোন অসুবিধার সম্মুখীন হননি, তবে তার ক্যাম্পাস সিটি থেকে দূরে হওয়ায় একোমোডেশন পেতে কিছুটা বেগ হতে হয়েছিল; তবে তিনি তা অচিরেই সমাধান করতে পেরেছেন।
তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার মাল্টিকালচারাল আবহ তার কাছে খুব ভালো লাগে, অনেক দেশের শিক্ষার্থীরা তার বন্ধু।
মেলবোর্ন ছাড়াও ক্যানবেরা এবং সিডনি ভ্রমণ করেছেন আরিফা, এবং তিনি লক্ষ করেছেন প্রতিটি শহরেরই একেকটা নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আছে যা তার কাছে ছিল খুবই উপভোগ্য।
পড়াশোনার পাশাপাশি রিসার্চ এসিস্টেন্ট হিসেবে কাজ করছেন আরিফা; তাছাড়া স্টুডেন্ট ক্লাব এবং বাংলাদেশী কমুনিটির সাথে সময় পেলে যোগাযোগ রক্ষা করেন বলে তিনি জানান।
অবসর সময় ঘুরতে পছন্দ করেন তিনি। নিজেকে সমুদ্রপ্রেমী আখ্যা দিয়ে বলেন, তার থাকার জায়গাটা মূলত সমুদ্র সৈকতের পাশে, এবং পরপর অনেকগুলো সমুদ্র সৈকতে ঘুরে বেড়াতে তার বেশ ভালো লাগে। তাছাড়া ফোটোগ্রাফি, বইপড়া এবং ছবি এঁকেও সময় কাটে তার।
পুরো সাক্ষাৎকারটি শুনতে ওপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন