গত ১৯ অক্টোবর শনিবার এক উৎসবমুখর পরিবেশে টার্নেট রাইজ প্রাইমারি স্কুলের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া প্রবাসী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের সংগঠন ডি ইউ ফ্যামিলি ভিক্টোরিয়ার দ্বিতীয় পুনর্মিলনী।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনার ও মাইকের দায়িত্বে ছিলেন দর্শনের প্রাক্তন ছাত্রী নাদিরা সুলতানা নদী ও ইতিহাসের প্রাক্তন ছাত্রী রওনক রাব্বানী সুবর্ণা। এবারের আয়োজনে অংশগ্রহণকারী প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ছিল গতবারেরচেয়েও উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এবারের উৎসবের থিম বা বিষয় ছিল ঢাকা বিশ্ববদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ক্যাম্পাস জীবন ও আড্ডা, আর তাই টিএসসি'র আদলেই সাজানো হয় মঞ্চ এবং হলরুম। এবারের পূর্ণমিলনীতে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন অধ্যাপক ডঃ সলিমুল্লাহ খান। তিনি 'বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা ' নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানের আমন্ত্রিত অতিথি অধ্যাপক ডঃ সলিমুল্লাহ খান Source: সংগৃহিত
পূনর্মিলনী উপলক্ষে প্রকাশিত হয় ডি ইউ ফ্যামিলি ভিক্টোরিয়ার প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে তাদের প্রথম প্রকাশনা ‘ক্ষণিকা‘।
সন্ধ্যা ৭:০০টাতে অনুষ্ঠানের প্রধান সমন্বয়কারী এবং সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র, জনাব ব্যারিস্টার নুরুল ইসলাম খানের স্বাগত ভাষণের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর অনুষ্ঠানের আমন্ত্রিত অতিথি অধ্যাপক ডঃ সলিমুল্লাহ খানকে মঞ্চে আহ্বান করা হয়। ডি ইউ ফ্যামিলি ভিক্টোরিয়ার পক্ষথেকে তাকে ক্রেস্ট ও ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করা হয়। অধ্যাপক ড: সলিমুল্লাহ খানকে ক্রেস্ট হস্তান্তর করেন এই অনুষ্ঠানের ডায়মন্ড স্পনসর পিএনএস গ্রাফিক্স'এর কর্ণধার জনাব কামরুল হাসান চৌধুরী। অধ্যাপক ড: সলিমুল্লাহ খানকে অনুরোধ করাহয় তার বক্তব্য রাখতে। উপস্থিত সকলেই অত্যন্ত আগ্রহের এবং মনোযোগের সঙ্গে উপভোগ করেন ড: সলিমুল্লাহ খানের বক্তব্য।সন্ধ্যা ৮:০০টার সময় মাগরিবের নামাজের ১০ মিনিট বিরতির পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব। রাত নয়টায় পরিবেশন করাহয় নৈশভোজ। এরপরই শুরুহয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব। গান, কবিতা আবৃত্তি, কুইজ আর রাফলে ড্র ছিল এই সাংস্কৃতিক পর্বের মূল আকর্ষণ। সকল প্রাক্তন ঢাবিয়ানদের পদচারণায় আর প্রাণবন্ত আবেগী উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানের হলরুমটি যেন হয়ে উঠেছিল একটি জীবন্ত টিএসসি বা মধুর ক্যান্টিন বা কার্জনহল। সবাই ছিল স্মৃতি রোমন্থরে আবেগী এক সময়ে, বহুদিন পর যেন সবাই ফিরে পেয়েছিলো আবার সেই বিশ্ববিদালয়ের দিনগুলি।সবশেষে অর্থনীতির প্রাক্তন ছাত্রী এবং প্রকাশনা 'ক্ষণিকা' র সম্পাদক জীনাতুর রেজা খানের বিদায়ী বক্তব্য ও সকলের সমবেত কণ্ঠই রবি ঠাকুরের "পুরানা সেই দিনের কথা " র মধ্যে দিয়ে শেষ হয় এই মিলন মেলার।
অনুষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সাথে ডঃ সলিমুল্লাহ খান Source: সংগৃহিত
অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের একাংশ Source: সংগৃহিত