এসবিএস নিউজের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে আশিক বলেছেন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা হিসেবে তার উত্থানের গল্প। আশিক জানান, তিনি নিজেও ঘণ্টাভিত্তিক বেতনে কাজ করতেন। তখন থেকেই তিনি অনুধাবন করেন কর্মীদের কাজের সময়সূচীর হিসাব রাখা বেশ জটিল। এ ঝামেলা মালিকপক্ষ ও কর্মী উভয়ের ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। এই সমস্যা সমাধানেরই একটি সহজ উপায় খুঁজতে থাকেন তিনি। পরে গণিত, বিজ্ঞান ও কর্মক্ষেত্রের অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠা করে ফেলেন ‘ডেপুটি’ নামের সফটওয়্যারটি। ২০০৮ সালে সফটওয়্যারটি তৈরির পর থেকে তিনি শুধু এগিয়েই গেছেন।
ব্যক্তিগতভাবে তার গণিত এবং বিজ্ঞানের প্রতি ঝোক আছে; আর এটিই তাকে ২০০৮ সালে ওয়ার্কফোর্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রতিষ্ঠান 'ডেপুটি ' প্রতিষ্ঠায় মনোবল এনে দেয়। তিনি এই প্রতিষ্ঠানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
সফ্টওয়্যারটি বিভিন্ন কোম্পানীতে কর্মীদের কাজের সময়সূচী এবং বেতন প্রদানে হিসাব রাখতে সহায়তা করে। অস্ট্রেলিয়ান বিমান সংস্থা কোয়ান্টাস এবং নাসাসহ বিশ্বের ১৮৪ হাজারেরও বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান এই সিস্টেম ব্যবহার করে।
এই সপ্তাহে প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ফিনান্সিয়াল রিভিউর তরুণ ধনীদের তালিকায় ৩৮ বছর বয়সী এই যুবকের অবস্থান এখন ২৫ নম্বরে।
তবে এতো সম্পদের মালিক হয়েও আশিক আহমেদ অত্যন্ত বিনয়ের সাথে বলেন, অর্থ তাকে প্রেরণা দেয় না।
তিনি বলেন, "আমি মনে করি অর্থ কখনই লক্ষ্য নয়, বরং এটি ঘটে যাওয়া বিষয়গুলির ফলাফল।"
"আমি টাকার জন্য এটি কখনই করিনি এবং এখনও করব না। আমি ধনী তালিকায় রয়েছি বা নাকি নেই তা আমার বিবেচ্য নয়; এ কারণে আমার প্রাত্যহিক অভ্যাসেরও কোন পরিবর্তন হবে না।"
মিঃ আহমেদ বলেছেন, যে কোনও সমস্যা সমাধান করেই তিনি এগিয়ে যান।
"জীবনের বৈধতা অন্য মানুষের জীবনকে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে আসে," তিনি বলেছিলেন।
"অভিবাসী উদ্যোক্তাদের কাছে আমার পরামর্শ হল অস্ট্রেলিয়া একটি দুর্দান্ত জায়গা এবং সব সময় সুযোগ সন্ধান করুন এবং তার থেকে সর্বোচ্চটা পেতে চেষ্টা করুন; অন্য ব্যক্তির জীবনকে সমৃদ্ধ করার জন্য আপনার লক্ষকে অনুসরণ করুন।"