বাংলাদেশ উইমেন্স টিম বর্তমানে এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন, কিন্তু বিশ্বকাপে এসে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। বাংলাদেশ গ্রূপ পর্বের প্রতিটি খেলায় হেরে গেছে। তবে কি দলের প্রস্তুতিতে কোন ঘাটতি ছিল?
বাংলাদেশ উইমেন্স ক্রিকেট টিমের চেয়ারম্যান মি: শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, "টি টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপকে সামনে রেখেই আমরা গত দুবছর নিবিড়ভাবে প্রস্তুতি চালিয়েছি, আমরা তাদেরকে নিয়ে অনেকগুলো ক্যাম্প করেছি, হোম কিছু সিরিজও ছিল, আসার আগে ভারতেও একটি ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছি। “তবে এই টুর্নামেন্টে ভালো করতে না পারলেও উইমেন্স টিমের গত দুই বছরের পারফরম্যান্স বেশ ভালো বলে মনে করেন মিঃ নাদেল।
শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল (বাঁয়ে) সাবেক জাতীয় দলের ক্রিকেটার আমিনুলইসলাম বুলবুলের (ডানে) সাথে Source: SBS Bangla
"মেয়েদের মধ্যে মানসিকভাবে এবং শরীরী ভাষায় জেতার অভ্যাসের বিষয়টি বোঝা যাচ্ছিলো। দুৰ্ভাগ্যবশতঃ এই টুর্নামেন্টের ভারত এবং নিউজিল্যান্ডের সাথে ম্যাচ দুটিতে ভালো করার সুযোগ ক্রিকেটাররা হারিয়েছে। "
সামনে বাংলাদেশে মেয়েদের অনুর্দ্ধ ১৯ ওয়ার্ল্ড কাপ টুর্নামেন্ট আছে। তিনি বলেন, তারা এখন থেকেই এটিকে লক্ষ্য করে এগিয়ে চলেছেন যাতে একটি ভালো ফলাফল তাদের অনুকূলে আসে। এর পাশাপাশি তারা স্কুল ক্রিকেট শুরু করতে যাচ্ছেন অনুর্দ্ধ ১৭ কে কেন্দ্র করে।
"ভবিষ্যতের জন্য নতুন খেলোয়াড় সৃষ্টিই হচ্ছে এর মূল লক্ষ্য; এই বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টের আয়োজনের মধ্যে দিয়ে মেয়েরা যাতে অল্প বয়সেই মানসিক এবং শারীরিকভাবে তৈরী হতে পারে।"মিঃ নাদেল আরো বলেন, মেয়েদের খেলাধুলায় অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে ঠিক, তবে মেয়েদের সব ডিসিপ্লিনে এখনো অভিভাবকরা দিতে চান না। তাই তাদের মধ্যে সব সময় নিরাপত্তাবোধ তৈরিতে সচেষ্ট ক্রিকেট বোর্ড।
এই টুর্নামেন্টে ভালো করতে না পারলেও উইমেন্স টিমের গত দুই বছরের পারফরম্যান্স বেশ ভালো বলে মনে করেন মিঃ নাদেল Source: Matthew Lewis-ICC/ICC via Getty Images
তিনি বলেন, "মেয়েরা যদি খেলাধুলায় ভালো করে তবে তা তাদের ক্যারিয়ারের জন্যও ভালো, তারা আর্থিক ভাবে লাভবান হবে, সর্বোপরি নিশ্চিত একটা প্রাপ্তির বিষয় থাকবে। সেটা শুধু অর্থনৈতিকই নয়, সামাজিক মর্যাদার দিক থেকেও। এই বিশ্বাসটি মানুষের মধ্যে দিতে পারলে মেয়েরা খেলাধুলায় আরো যুক্ত হবে।"
তবে মেয়েরা আর্থিকভাবে কতটা সুবিধা পাচ্ছে? এ প্রসঙ্গে শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, ছেলেদের মত মেয়েদের ক্রিকেট স্পনসর পাওয়া সহজ নয়।
"আন্তর্জাতিক তো বটেই একটা জাতীয় টুর্নামেন্ট আয়োজন করাও যথেষ্ট ব্যয়বহুল। তাই আমাদের মেয়েরা যদি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টগুলোতে একটু ক্লিক করে তবে মনে করি স্পনসরের অভাব হবে না।"তবে মিঃ নাদেল স্বীকার করেন, গত এক বছরে নারী ক্রিকেটে বাজেট দ্বিগুন হলেও ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের আর্থিক সুযোগ সুবিধা অনেক কম।
টুর্নামেন্ট চলাকালে বাংলাদেশ ক্রিকেট সমর্থকদের একাংশ Source: SBS Bangla
তিনি জানান, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এই বিষয়টির ব্যাপারে সচেতন আছেন এবং তারা নারী ক্রিকেটারদের এই আর্থিক সুবিধা বাড়াতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
পুরো সাক্ষাৎকারটি শুনতে ওপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন
আরো পড়ুন: