মেলবোর্নের হোপার্স ক্রসিং এর এনকোর ইভেন্ট সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই ‘মাল্টিকালচারাল নিউ ইয়ার ফেস্টিভ্যাল’-এ যোগদান করেন বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়ানদের পাশাপাশি অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকজনও।
মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে নতুন বছরের জন্য শুভকামনা ব্যক্ত করে আনুষ্ঠানিক সূচনার পর সকাল এগারোটা বাজার আগেই লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গন।সামনেই ঈদ; তাই ঈদের এর কেনাকাটার যেন ধুম পড়ে যায় বিভিন্ন বুটিকের স্টলগুলোতে। চটপটি, পিঠা, বিরিয়ানী-সহ প্রচুর মুখরোচক খাবারের সমাহার ছিল মেলার ফুড-স্টলে। সেন্টারের বাইরে বাচ্চাদের জন্য আনা হয়েছিল দোলনা, জাম্পিং ক্যাসল-সহ বিভিন্ন রাইড।
Source: Victorian Bangladeshi Community Foundation
ভিবিসিএফ এর জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ জাহিদ মজুমদারের শুভেচ্ছা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আরম্ভ হয়ে শেষ হয় রাত ৮টায়, প্রেসিডেন্ট জনাব ইউসুফ আলীর বিদায়ী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে।
এবারে বর্ষবরণের ফ্যাসিলিটেটর ছিলেন জনাব মোশাররফ হোসেন রেহান। তার সাথে ভিবিসিএফ এর অন্যান্য কাউন্সিল মেম্বার জাহিদ মজুমদার, মিজানুর রহমান, মুক্তার হোসেন, জামিল শওকত, জান্নাতুল ফেরদৌস নৌজুলা, ফারিহা সালাহউদ্দিন, মাকসুদ হোসেইন বাপ্পি ও পিনাকী ঘোষ ছিলেন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে।
একজিকিউটিভ মেম্বার নুরুল ইসলাম খান, নুসরাত ইসলাম বর্ষা, প্রিন্সিপ্যাল মোর্শেদ কামাল ও কারিকুলাম কোঅর্ডিনেটর ইকবাল হোসেন ছিলেন বেশ কিছু কর্মকাণ্ডে। ভিবিসিএফ এর 'প্রবাসধ্বনি' ও 'ওয়েস্টার্ন রিজিওন বাংলা স্কুল' এর পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন উপস্থিত দর্শকমণ্ডলী। এ ছাড়াও বিবিধ বাংলাদেশী গ্ৰুপ তো ছিলই; সাথে সাউথ এশিয়ান কিছু সংগঠন নাচ, গান, আবৃত্তি-সহ অসংখ্য বিনোদনমূলক পরিবেশনার মাধ্যমে মেলায় আগত মানুষকে বিনোদিত করে।
বর্ষবরণের এ উৎসবে এবার ভিকটোরিয়া রাজ্যের বাংলাদেশী কমিউনিটির গুণীজন নির্বাচন করে সম্বর্ধনাও দেওয়া হয়েছে, ৫টি ক্যাটাগরিতে। স্থানীয় এমপি জোয়ান রায়ান, কৌশল্যা ভেগেলা এবং উইন্ডহ্যাম সিটি কাউন্সিলের কাউন্সিলররাও যোগ দিয়েছিলেন এ আনন্দোৎসবের অতিথি হিসেবে।ভিবিসিএফ এর সাথে এই মেলার আয়োজনে একটি তেলেঙ্গানা গ্ৰুপও ছিল কোপার্টনারশিপে।
এই ‘মাল্টিকালচারাল নিউ ইয়ার ফেস্টিভ্যাল’-এ যোগদান করেন বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়ানদের পাশাপাশি অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকজনও। Source: Victorian Bangladeshi Community Foundation
মেলায় শুধু বর্ষবরণের আনন্দেই মানুষ মেতে ওঠে নি; মেলা যেন পরিণত হয়েছিল হাজার বাঙালির পরম এক মিলনমেলায়! মেলবোর্নে দীর্ঘদিনের কঠিন এক লকডাউনের পর এমন বিশাল লোক সমাগম আর কোন বাংলাদেশী অনুষ্ঠানে দেখা যায় নি বলেই জানান অনুষ্ঠানের কোঅর্ডিনেটর মোশাররফ হোসেন রেহান।
মোশাররফ হোসেন রেহানের সাক্ষাৎকারটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।