পার্থের ক্যানিংটন সিভিক সেন্টার পার্কে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ এই মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিটি অব ক্যানিং এর মেয়র মিস্টার প্যাট্রিক হল।
এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংসদ ইয়াজ মোবারাকায় (এমএলএ), কাউন্সিলর মিজ ইয়াসো পন্নুথুরাই, অনারেবল কনসুলার জেনারেল অব বাংলাদেশ মিস্টার গ্রাহাম ড্রপার্ট, ড. জগদিশ কৃষ্ণান (এমএলএ)-রিভারটন এবং অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম বাংলাদেশী বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ড. অমিত চাকমা।ড. অমিত চাকমা বলেন,
Source: Bangladesh Australia Association of Western Australia
“আমার খুব ভাল লেগেছে। আমি তো পার্থে নতুন, তো, এই কমিউনিটিটা কত বড় তা আস্তে আস্তে বুঝতে পারছি। যেটা ভাল লাগলো, দেখলাম, সুন্দর আয়োজন, অংশগ্রহণ খুব ভাল ছিল।”
এ বারের আয়োজন সম্পর্কে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া অ্যাসোসিয়েশন অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া (বাওয়া)-এর জেনারেল সেক্রেটারি তাসনীমুল গালিব (অমিত) বলেন,
“প্রায় তিন মাস ব্যাপী পরিকল্পনা ও পরিশ্রমের ফসল আজকের বাংলার মেলা। খুব ভাল লাগছে সবার হাস্যোজ্জ্বল মুখ দেখে। সবাইকে আনন্দ দিতে পেরে মনে হচ্ছে আমাদের সবার পরিশ্রম কিছুটা হলেও সার্থক।”
এ বছরের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটিতে রবীন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল গীতি, ছায়াছবি ও আধুনিক গান, লোকগীতি এবং বাংলা ব্যান্ড-সঙ্গীত-সহ পাঁচটি বিশেষ পর্ব ছিল।
তাসনীমুল গালিব (অমিত) বলেন,
“আজকের এই আয়োজনে ছোট-বড় মিলিয়ে দু’শোরও বেশি শিল্পী অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়া, যেমন খুশি তেমন সাজো আর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশুদের সংখ্যাও ছিল অন্যান্য বারের তুলনায় বেশি।”
কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীর সময়ে মেলায় লোক-সমাগম সম্পর্কে তাসনীমুল গালিব (অমিত) বলেন,
“আমাদের প্রাথমিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পনের শ’য়েরও বেশি মানুষ এসেছেন সারাদিনে।”
“কোভিডের জন্য আমাদের পরিকল্পনায় কিছু পরিবর্তন আনতে হয়েছে এবং সে পরিবর্তন আখেরে শাপে বর হয়েছে। কারণ, আজকে আমরা যেই ভেন্যুতে আয়োজন করেছি, সেটা পেয়েছি কোভিডের কারণেই।”
“সচরাচর আমরা যেখানে মেলার আয়োজন করে থাকি, শেষ মুহূর্তে তা না পাওয়ায় মেলাকে আমরা সিভিক সেন্টার পার্ক অ্যান্ড অ্যাম্ফিথিয়েটারে আয়োজন করেছি। সত্যি বলতে, উপস্থিত সবাই আমাদের আজকের এই লোকেশনটা বিশেষ পছন্দ করেছেন। আমরা তাই ভবিষ্যতে এখানেই চেষ্টা করবো মেলার আয়োজন করতে।”মেলায় অংশ নিয়েছিলেন আশরাফি বীথি। তিনি বলেন,
Source: Bangladesh Australia Association of Western Australia
“একজন দর্শক হিসেবে বলবো, খুবই চমৎকার একটি আয়োজন ছিল এ বছরের বাংলার মেলা-১৪২৮। অসংখ্য মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রমাণ করেছে যে, আয়োজকদের পরিশ্রম সার্থক হয়েছে।”
বীথি আরও বলেন,
“গত বছর কোভিডের জন্য মেলা আয়োজিত হয় নি, তাই অনেকদিন পর আমরা দেশীয় সাংস্কৃতিক আয়োজন উপভোগ করলাম। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও দেশীয় খাবার আর পোশাকের পসরা ছিল মেলায় আসা অতিথিদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু।”
মেলার আয়োজনের ক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে তাসনীমুল গালিব (অমিত) বলেন,
“আর, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি, মেলার সার্বিক আয়োজনে সহায়তা করেছেন আরও অর্ধ-শতাধিক মানুষ। বাওয়ার পক্ষ থেকে আমি তাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।”
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।